ময়মনসিংহ নগরের জিলা স্কুল মোড়ের এক ব্যবসায়ীকে হাত, চোখ, মুখ ও পা বেঁধে বাসায় লুটপাট চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার পর এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আজ দুপুরে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দুর্বৃত্তদের দলটি ব্যবসায়ীর বাসা থেকে ২৩ লাখ টাকা ও দেড় ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
নগরের জিলা স্কুল মোড় এলাকায় চাচার হোটেলের মালিক মোসা খন্দকারের খন্দকার কুটির নামের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। স্ত্রী বেড়াতে যাওয়ায় বাসায় একা ছিলেন তিনি।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মোসা খন্দকার বলেন, ‘স্ত্রী বাসায় না থাকায় বাইরে রুটি খেয়ে রাত ১২টার দিকে বাসায় ঢুকছিলাম। দরজার তালা খুলতেই পেছন দিক থেকে দুজন এসে আমার চোখ, হাত বেঁধে ফেলে। চিৎকার দিতে চাইলে তারা বলতে থাকে, “চিল্লাইলে চাক্কু ঢুকাইয়া দিবাম।” এরপর আমার মুখও বাঁধা হয়। তারপর বাড়ির একটি কক্ষে নিয়ে পা বেঁধে ফেলা হয়। এ সময় চোখমুখ ও শরীরে কিলঘুষি মারতে থাকে। মারধর ও চোখ বেঁধে রাখায় আমি অচেতন হয়ে পড়ে থাকি। যখন জ্ঞান ফেরে তখন দেখি তারা আমার হাত খুলে রেখে গেছে। তারপর নিজে নিজে চোখের বাঁধন, মুখের বাঁধন ও পায়ের বাঁধন খুলি। পরে স্ত্রীকে ফোন করে ঘটনা জানাই। কতজন এ কাজে অংশ নিয়েছিল, তা বলতে পারছি না।’
ঘটনার খবর পেয়ে মোসা খন্দকারের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন আজ সকালে বাসায় ফেরেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী রাত দুইটার দিকে ফোন করে ঘটনা জানায়। আমার বাসার একটি ট্রাংকে ব্যবসা ও দোকান ভাড়া থেকে দীর্ঘদিন ২৩ লাখ টাকা জমা করেছি। এ টাকা দিয়ে বাসার কাজ শুরুর পরিকল্পনা করেছিলাম। আগামী কিছুদিনের মধ্যে কাজ শুরুর কথা ছিল; কিন্তু আমার সব লুট করে নিয়ে গেল।’
ঘটনাস্থলে তদন্ত কার্যক্রম চালানো কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে কারা ঘটনা ঘটিয়েছে, তা শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।