বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টার সাথে সম্প্রতি বৈঠক করেছে বিএনপি। সেই বৈঠক নিয়ে দলটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জার্মান রাষ্ট্রদূত।
আজ ২০ এপ্রিল (বুধবার) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে তাকে উদ্ধৃত করে বিএনপি যে বক্তব্য দিয়েছে, সেই বক্তব্যে খুশি হতে পারেন নি তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, জার্মানি কোন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না। বাংলাদেশেরও কোন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার আগ্রহ নেই জার্মানির। বিএনপির সাথে আমার যে বৈঠক হয়েছে, সেখানে বিএনপি নেতারা কেন নির্বাচনে অংশ নেয়নি বা নিতে চায় না, সেই বিষয়টি আমাকে ব্যাখ্যা করেছে, এর বেশি কিছু না।
আখিম আরও বলেন, আমাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে যে, আমি বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। এটা সত্য নয়। এটা যদি আমার কথা হয়ে থাকে, আমি নিজেই আমার কথা বলতে পারি।
এর আগে গত ১৭ এপ্রিল (রবিবার) ঢাকায় নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টারের সাথে প্রায় দুই ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে বিএনপি। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ওই বৈঠক হয়।
বৈঠকের পর ব্রিফ করেছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি জানান, আমাদের মধ্যে অনেক মিউচ্যুয়াল ইন্টারেস্ট আছে। দুই দেশের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ককে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের যে প্রত্যাশা তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। উন্নয়ন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, দেশের আইনের শাসনসহ সব কিছুই আসে আলোচনায়।
বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত কী বলেছেন সাংবাদিকরা জানতে চাইলে খসরু বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে বিশ্বব্যাপী সবাই অবগত আছে। এখানে নতুন করে বলার কিছু নেই। এগুলো নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনাও হচ্ছে। এসব ব্যাপারে উনারা কনসার্ন। বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে আলোচনা হচ্ছে উনারা (জামার্নি) তো তার একটা অংশ।
আগামী নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না- এ বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন বাদে তো কোন আলোচনা হতে পারে না। কারণ বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের বিষয়ে সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে।