ফিলিপিন্সে এক প্রাদেশিক গভর্নরসহ ছয়জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (৪ মার্চ) সকালে দেশের মধ্যাঞ্চলের নিগ্রোস ওরিয়েন্টাল প্রদেশে তাদেরকে হত্যা করে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। এ ঘটনায় বন্দুকধারীদের আটক করতে অভিযান শুরু করেছে দেশটির পুলিশ।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশটিতে প্রায়ই রাজনীতিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার প্রাদেশিক গভর্নর হত্যার ঘটনা ঘটল। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পুলিশ বলেছে, সন্দেহভাজন ছয়জন বন্দুকধারীর পরনে একই ধরনের পোশাক ছিল। তারা রাইফেল হাতে পামপ্লোনা শহরে গভর্নর রোয়েল দেগামোর বাড়িতে প্রবেশ করে এবং এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়।
গোলাগুলির ঘটনায় ৫৬ বছর বয়সি গভর্নর রোয়েল দেগামো ও আরও পাঁচজনের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন গভর্নরের স্ত্রী জেনিস ডেগামো। জেনিস পামপ্লোনা শহরের মেয়র। এক টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, গভর্নর দেগামোর এমন মৃত্যু কাম্য নয়। শনিবারও তিনি তার এলাকার সেবায় নিয়োজিত ছিলেন।’
প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোসের রাজনৈতিক মিত্র ছিলেন দেগামো। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন মার্কোস। সেই সঙ্গে হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। বন্দুকধারীদের উদ্দেশে মার্কোস বলেছেন, ‘তোমরা যেই হও, তোমাদের খুঁজে বের করা হবে। এখনই অত্মসমর্পণ কর। এটাই হবে তোমাদের জন্য সবচেয়ে ভালো সুযোগ।’
গত বছরের শেষ দিকে নিগ্রোস ওরিয়েন্টাল প্রদেশের গভর্নর নির্বাচন হয়। নির্বাচনে প্রথমে দেগামোর প্রতিদন্দ্বী প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। দেগামো নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আপত্তি জানালে নতুন করে ভোট গণনা করা হয় এবং তাতে দেগামো বিজয়ী হন।
এ ঘটনা দেশটির সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেগামোকে নিগ্রোস ওরিয়েন্টালের গভর্নর বিজয়ী ঘোষণা করেন সর্বোচ্চ আদালত। ফিলিপিন্সে প্রায়ই রাজনীতিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ২০২২ সালে স্থানীয় নির্বাচনের পর এখন পর্যন্ত ৩ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে সবশেষ হত্যার শিকার হলেন দেগামো।