বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকার ও বিরোধী দলসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (৮ নভেম্বর) নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল একথা বলেন।
গত ২৮অক্টোবর শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ঘোষণা দিয়ে দেশজুড়ে রীতিমত তাণ্ডব চালায় বিএনপি। এদিন এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় টানা হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপি ও জামায়াত। জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দেশে বাড়ছে রাজনৈতিক সংঘাত-সহিংসতাও।
বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করেন এক ভারতীয় সাংবাদিক। তার শঙ্কা, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে চলমান সহিংসতাকে ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উস্কে দিতে পারে - এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাবনা জানতে চান তিনি। তবে তার এ প্রশ্নের উত্তর কৌশলে এড়িয়ে যান বেদান্ত প্যাটেল।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে হরতাল-অবরোধের নামে দেশজুড়ে অগ্নিসন্ত্রাস ও তাণ্ডব চালিয়ে আসছে বিএনপি ও জামায়াত। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধা দেয়ার কারণে তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি আরোপ করবে কিনা - ব্রিফিংয়ে এমন প্রশ্নেরও কোনো উত্তর দেননি বেদান্ত প্যাটেল।
বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব মুশফিকুল ফজল আনসারী বিএনপির পক্ষে প্রশ্ন করলেও বেদান্ত প্যাটেল স্পষ্ট করে বলেন, ‘নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দলকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকার ও বিরোধী দলসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করছে ওয়াশিংটন।’
যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলে আসছে। দেশের মানুষের স্বার্থে সব দলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানানো হয় এ সংবাদ ব্রিফিংয়ে।