বাংলাদেশে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনকে স্বাগত জানিয়েছে চীন। একই সঙ্গে দেশটি দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাবে বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।
আজ শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এক মুখপাত্র এ কথা জানান।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ৮ আগস্ট বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নিয়েছে। এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হয়েছেন নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সরকার নিয়ে চীনের মন্তব্য কী?
জবাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের বিষয়টি চীন অবহিত এবং তারা এই সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে। চীন নীতিগতভাবে যেকোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের বিরোধী। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনভাবে যে উন্নয়নের পথ বেছে নিয়েছে, তার প্রতি আমাদের সম্মান রয়েছে। আমরা আমাদের ভালো প্রতিবেশী এবং বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্বের নীতিতে অটল রয়েছি।’
মুখপাত্র বলেন, চীন ও বাংলাদেশের বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের এবং এই সম্পর্ক অনেক গভীর। চীন বাংলাদেশের সঙ্গে এই সম্পর্ককে মূল্যবান মনে করে। নানা ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগ ও সহযোগিতার উন্নয়ন এবং সমন্বিত কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বকে আরও এগিয়ে নিতে চীন বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।