কয়েক দিনের বিরতির পর মৌসুমি বায়ু আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ঢাকার দিকে মেঘমালা এগিয়ে আসছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের পর রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এরই মধ্যে সিলেট, কক্সবাজারসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কক্সবাজারে রাতভর ভারী বৃষ্টিতে চার জায়গায় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, আজ থেকে শুরু করে আগামী কয়েক দিন সারা দেশে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বিশেষ করে সিলেট, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হতে পারে। কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ কারণে ওই দুই এলাকাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে আরও পাহাড়ধসের আশঙ্কা আছে। ফলে পাহাড়ের কাছে ও নিচে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে স্থানীয় প্রশাসন থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, মৌসুমি বায়ু শক্তিশালী হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সক্রিয় আছে। ফলে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ বৃষ্টি হতে পারে, যা আগামী কয়েক দিন চলতে পারে।
এদিকে সিলেটে আবারও ভারী বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। সংস্থাটি থেকে আজ বৃহস্পতিবার ও আগামীকাল শুক্রবারের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ছে। বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় পানি সবচেয়ে তাড়াতাড়ি বাড়তে পারে। ওই সব অববাহিকা ও উজানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছে সংস্থাটি।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের নদ-নদীর ১১০টি পয়েন্টের ৬১টিতে পানি বাড়ছে। আর ৪৭টিতে পানি কমছে। এর মধ্যে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ৮৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র ও সুরমার পানি বিপৎসীমার ৪০ থেকে ৪৫ মিলিমিটার ওপর দিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে সিলেটের উজানে ভারতে চেরাপুঞ্জিতে আবারও অতি ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৩১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।