নিক্সন চৌধুরী ‘মর্মাহত’ হওয়ায় মাদ্রাসার ২৮ শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন দুই বছর ধরে বন্ধ
সিএইচটি টিভি ডেস্ক
  • প্রকাশিত : 14-09-2024
ফাইল ছবি : সংগৃহীত

ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন ‘মর্মাহত’ হওয়ায় অধ্যক্ষসহ একটি মাদ্রাসার ২৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন দুই বছর ধরে বন্ধ রেখেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

দীর্ঘ সময় বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন এসব শিক্ষক-কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।

ঘটনাটি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ইকামাতেদ্বীন মডেল কামিল (এমএ) মাদ্রাসার। ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ ১৭ জন শিক্ষক, তিনজন ল্যাব সহকারী, তিনজন তৃতীয় শ্রেণির ও ছয়জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী বেতন বন্ধ রাখা হয়। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মাদ্রাসার পক্ষ থেকে ১ সেপ্টেম্বর পুনরায় বেতন-ভাতা চালুর জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালে উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের পল্লিবেড়া গ্রামে ২ একর ১২ শতাংশ জমির ওপর মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৫ সালের মে মাসে মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত হয়। মাদ্রাসায় চারতলা ভবন আছে দুটি, তিনতলা ভবন আছে একটি ও দুইতলা ভবন আছে তিনটি। বর্তমানে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী আছেন ১ হাজার ৩৮ জন এবং শিক্ষক-কর্মচারী আছেন ৫৮ জন।

২০২১ সালের ৮ অক্টোবর ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী বরাবর ডিও লেটার দিয়ে ‘অধ্যক্ষসহ শিক্ষক-কর্মচারীগণের বেতন–ভাতা স্থগিত করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ’ করেন। ডিও লেটারে নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুর-৪ এর ভাঙ্গা উপজেলার ইকামাতেদ্বীন মডেল কামিল মাদ্রাসাটি বিএনপি সরকারের আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়। মাদ্রাসার শিক্ষক–কর্মচারীরা সরকারি নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয় মর্মে জানা যায়। আমি বারবার চেষ্টা করা সত্ত্বেও বিষয়টির প্রতি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও কিছুসংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারী কর্ণপাত না করায় ও আমার আদেশের অবজ্ঞা করায় আমি দারুণভাবে মর্মাহত হয়েছি। তাই অধ্যক্ষসহ নিম্নবর্ণিত শিক্ষক–কর্মচারীদের বেতন–ভাতা স্থগিত করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।’

শেয়ার করুন