বর্হিবিশ্বের যে কোন দেশ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করার তিন দিন আগেই প্রত্যেক যাত্রীকে অনলাইনে হেলথ ডিক্লারেশন ফরম পূরণ করতে হবে।
আগামী ২৫ এপ্রিল ২০২২ থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। ইতোমধ্যেই এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
গতকাল ২০ এপ্রিল (বুধবার) রাতে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যাত্রীদের দেশে আসার তিন দিন আগেই হেলথ ডিক্লারেশন ফরম পূরণ করতে হবে। তারা http://healthdeclaration.dghs.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে ফরম পূরণ করবেন। ফরমটি পূরণ করার পর কিউআর কোড যুক্ত একটি হেলথ কার্ড আসবে। সেটি প্রিন্ট করে কিংবা সফট কপিটি (মোবাইলে) নিজের কাছে রাখতে হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, কোন দেশে ট্রানজিট হয়ে বাংলাদেশে আসলে ট্রানজিট এয়ারপোর্টে চেক-ইন করার আগে নতুন করে হেলথ ডিক্লারেশন ফরম পূরণ করতে হবে। বোর্ডিংয়ের সময় এয়ারলাইনগুলো যাত্রীদের হেলথ কার্ড আছে কিনা যাচাই করবে। দেশে আসার পর বিমানবন্দরে যাত্রীকে কিউআর কোড যুক্ত হেলথ কার্ড বা মোবাইলে সফট কপি দেখাতে হবে।
বেবিচকের অনলাইন হেলথ ডিক্লারেশন ফরমে যাত্রীর করোনার আক্রান্তের তথ্য, টিকা, জ্বর-কাশিসহ নানা তথ্য সংযুক্ত করা হয়েছে। এতদিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তৈরি কাগজের হেলথ ডিক্লারেশন ফরম পূরণ করে দেশে প্রবেশ করতে হত। দেশে প্রবেশের পর ইমিগ্রেশন কাউন্টারের আগেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাউন্টারের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হতো যাত্রীদের।
প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশে আগত যাত্রীদের জন্য নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বিধিনিষেধ অনুযায়ী, যেসব যাত্রী করোনা টিকার পূর্ণ ডোজ নিয়েছেন, তাদের আরটি পিসিআর পরীক্ষা করতে হবে না। তবে সেক্ষেত্রে যাত্রীদের টিকা সার্টিফিকেট দেখাতে হবে।
আর যেসব যাত্রী এক ডোজ কিংবা কোন টিকা নেননি, তাদের বাংলাদেশে প্রবেশের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ রিপোর্ট থাকতে হবে। ১২ বছরের নিচে শিশুদের কোন করোনা টেস্ট করাতে হবে না। তবে তাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অন্যান্য নির্দেশনাগুলো মানতে হবে।