রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চিংম্রং বৌদ্ধ বিহার মাঠে আগামী ১৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মারমা সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব সাংগ্রাঁই রিলং পোয়ে: ২০২৪। যা সাংগ্রাঁই জলবর্ষণ উৎসব নামেও পরিচিত।
এতে লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটবে বলে আশা করছেন সাংগ্রাঁই রিলং পোয়ে: উদযাপন কমিটির আহবায়ক এবং চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়েশ্লিমং চৌধুরী। তিনি বলেন, বৌদ্ধ সম্প্রদায়সহ নানা বর্ণের মানুষের কাছে চিংম্রং বৌদ্ধ বিহার একটি পবিত্র তীর্থস্থান। এখানে রয়েছে শত বছরের প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার। প্রতিবছর বর্ষবরণ ও বর্ষবিদায়কে ঘিরে বিহার সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত হয় সাংগ্রাঁই জলবর্ষণ উৎসব। আগামী ১৫ এপ্রিল এই উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এইদিন মারমা যুবক-যুবতীরা পরস্পরকে পানি ছিটানোর মাধ্যমে বিগত বছরের দুঃখ, গ্লানি, ব্যর্থতাকে দূরে ঠেলে দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করবে।
এছাড়া এইদিন অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী মারমা সম্প্রদায়ের বিভিন্ন খেলাধূলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা এবং র্যালি। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটির সাংসদ দীপংকর তালুকদার।
উৎসব উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আচিংপ্রু মারমা বলেন, ১৫ এপ্রিল মূল ‘সাংগ্রাঁই রিলং পোয়ে’ উৎসব হলেও আগামী ১৩ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত ৩ দিন বিহার প্রাঙ্গনে বসবে বৈশাখী মেলা। ব্যবসায়ীরা নানা প্রকার পসরা নিয়ে বসবে চিংম্রং বৌদ্ধ বিহার মাঠে। তাছাড়া নববর্ষকে ঘিরে বিহারে দায়ক-দায়িকারা বুদ্ধ পূজা, বুদ্ধ মূর্তিকে স্নান, বয়স্কদের স্নান করানোসহ নানা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করবে।
চন্দ্রঘোনা থানার ওসি আনছারুল করিম বলেন, সাংগ্রাঁই উৎসবকে ঘিরে পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।