শীতের সঙ্গে রাঙামাটির হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন অসংখ্য রোগী। যাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিশু রয়েছে। জেনারেল ও শিশু ওয়ার্ডে অতিরিক্ত রোগীর কারণে দেখা দিয়েছে আসন সংকট। গত এক সপ্তাহ ধরে প্রচন্ড কনকনে শীত আর মৃদু শৈত্য প্রবাহের কারণে বিপর্যস্ত জনজীবন। রাঙামাটির পাহাড়ি অঞ্চলে শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। ডায়রিয়া, সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়া নিয়ে, রাঙামাটি হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে প্রতিদিন দুই শতাধিক রোগী ভর্তি হচ্ছে। আক্রান্তদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল আবাসিক মেডিকেল অফিসার শওকত আকবর জানান, প্রতিবছর শীতকালীন সময়ে হাসপাতালগুলোতে শিশুদের ডায়রিয়া বেড়ে যায়। এতে করে ১০জন রোগীর মধ্যে ৫জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তবে এ বছর একটু বেশী শীত পড়ার কারণে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে যারা শীতকে ভালোভাবে নিবারণ করতে পারে না, সে ধরনের পরিবারের শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এ সময়ে অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস, ইনফ্লুয়েঞ্জাসহ ঠান্ডাজনিত রোগ বেড়ে যায়। হাসপাতালের ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত রোগী ভর্তি হওয়ায় চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
রাঙামাটির অন্যান্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থাও একই রকম। বাচ্চাদের ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও ব্রংকাইটিস রোগী বেড়েছে। বয়স্কদের ক্ষেত্রেও ডায়রিয়া এবং শ্বাসকষ্টের প্রদাহজনিত রোগগুলো বেড়েছে। শীত থেকে বয়স্ক ও শিশুদের বাঁচাতে পরিবারের সচেতনতার পাশাপশি গরম কাপড়ের ব্যবহারসহ শিশুদের বাড়তি যত্ন নেওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।