গত বুধবার মধ্যরাতে রাঙ্গামাটির কাউখালীর কলমপতি ইউনিয়নের তারাবুনিয়ার খাঁজা গরীবে নেওয়াজ ইটভাটা ভাটা থেকে অপহৃত তিন শ্রমিককে সোমবার ভোররাতে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃতরা হলেন, মো. জিয়াউর রহমান (২৮), আহসান উল্লাহ (২৯) ও মো. মোসলেম উদ্দিন (৪০)।
কাউখালী উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের দুর্গম ডাবুন্যাছড়ি ও আশে পাশের বিস্তৃত এলাকায় পুলিশের অভিযানের মুখে টিকতে না পেরে অপহরনকারীরা অপহৃতদের রাউজানের রাবার বাগান এলাকায় ফেলে পালিয়ে যায়।
খরব পেয়ে উদ্ধার অভিযানে থাকা কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত) মোঃ আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে কাউখালী থানা পুলিশের একটি দল তাদেরকে কাউখালীতে নিয়ে আসে।
উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কাউখালী থানার ওসি মো. পারভেজ আলী জানান, ৩১ ডিসেম্বর রাত ১০টায় কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা এলাকা থেকে মুক্তিপণের অগ্রিম ৫ লাখ টাকা গ্রহণকালে ২ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের আদালতে প্রেরণ করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতদের দেয়ার তথ্যের ভিত্তিতে অপহৃতরা ডাব্বুনিয়া এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাবু মারমার হেফাজতে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ভোর রাতে ওসি পারভেজ আলীর দিক নির্দেশনায় ও ওসি (তদন্ত) মো. আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে পুলিশের ৫টি টিম বিভক্ত হয়ে কাউখালীর ডাব্বুনিয়া এলাকার সম্ভাব্য স্থানটি ঘিরে ফেলে এবং পুলিশের সবকটি টিম একত্রিত হয়ে দুর্গম ডাব্বুনিয়া ছড়া পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করে।
পুলিশের অভিযান নিশ্চিত জেনে সন্ত্রাসীরা অপহৃতদের কাউখালীর রাউজানের রাবার বাগান এলাকায় ফেলে চলে যায়। পরে অপহৃতরা রাউজান হয়ে হাটহাজারীর থানার ফতেয়াবাদ এলাকায় ইটভার মালিক আলমগীর কোম্পানীর সন্ধানে যায়।
এ খবর অভিযানে থাকা পুলিশের ওসি (তদন্ত) আব্দুল হালিম জানার পর তৎক্ষণাৎ ফতেয়াবাদ এলাকায় গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। পরে তাদের কাউখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাঙ্গামাটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় পুলিশ অপহরণকারীদের ধরতে পারেনি।