পার্বত্য রাঙামাটিতে অস্ত্রধারী পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলা অগ্নিসংযোগসহ কাঠবোঝাই ট্রাকে প্রকাশ্য দিবালোকে ভারী আগ্নেয়াস্ত্রের মাধ্যমে ব্রাশ ফায়ারের ঘটনার জড়িত উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক একঘন্টা ব্যাপী আটকে দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ করেছে সাধারণ পরিবহরণ শ্রমিকরা।
সমাবেশ থেকে আগামী এক সপ্তাহের আল্টিমেটামের ঘোষণা দিয়ে মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতা মো: সেকান্দার হোসেন চৌধুরী বলেছেন, এই সময়ের মধ্যে ট্রাকে গুলি করা সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে না পারলে পরবর্তীতে আরো কঠোর আন্দোলন কর্মসূচীর দিকে ধাবিত হবে সাধারণ শ্রমিকরা। বৃহষ্পতিবার দুপুরে শহরের পুরাতন বাস এলাকায় মহাসড়কে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এই কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়।
এ সময় সড়কে ঘন্টাব্যাপী যানচলাচল বন্ধ থাকে।
চট্টগ্রাম-রাঙামাটি ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি সাব্বির আহমেদ ওসমানীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম-রাঙামাটি ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেকান্দর হোসেন চৌধুরী, ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামসহ বিভিন্ন পরিবহন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতায় সাধারণ শ্রমিকরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন প্রতি জোর দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত: বুধবার (২৫শে ডিসেম্বর) রাঙামাটি থেকে কাঠ বোঝাই করে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার সময় সদর উপজেলাধীন দেপ্পোছড়ি এলাকায় পৌছুলে উপজাতীয় একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এলোপাতারি গুলি করে কাঠবোঝাই ট্রাকটি জ¦ালিয়ে দেওয়ার চেষ্ঠা চালায়। এসময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গুলিবিদ্ধ ট্রাকটি চম্পাতলী পর্যন্ত চালিয়ে নিয়ে যায় চালক নজরুল ইসলাম। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর ঘাগড়া ক্যাম্পে গিয়ে আশ্রয় নিয়ে নিজের জীবন রক্ষা করেন চালক।
এদিকে, এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার সময় রাঙামাটি শহরের অভ্যন্তরেই রাজবাড়ি স’মিলে কাপ্তাই হ্রদ দিয়ে এসে গুলি ফুটিয়ে গাছের স্তুপে পেট্টোল ঢেলে আগুণ লাগিয়ে দেয় উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা। প্রকাশ্য দিবালোকে ব্রাশ ফায়ার করা ও মধ্যরাতে শহরের মধ্যেই আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনায় রাঙামাটি শহরের সর্বত্রই স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্কাবস্থা বিরাজ করছে।