পাহাড়ে কেএনএফের দাবি, তিন পার্বত্য জেলার বম, ম্রো, লুসাই, খুমী, খিয়াং ও পাংখোয়া—এ ছয় জাতি মিলে কেএনএফ সংগঠন গঠিত হয়েছে। এ ছয় জাতির মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কেএনএফ আন্দোলনে নেমেছে। তাদের সেই দাবি আবারও অস্বীকার করেছেন ওই পাঁচ জাতিগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দরা।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটের অডিটরিয়ামে ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সামাজিক নেতৃবৃন্দের সাথে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এই প্রতিবাদ জানানো হয়।
মতবিনিময় সভায় কেএনএফের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সেই সাথে সশস্ত্র পথ পরিহার করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য আহ্বান জানান বক্তারা।
এসময় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি খুশিরায় ত্রিপুরা, বম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি লালজারলম বম, এ্যাডভোকেট কাজী মাহাতুল হোসেন যত্ন, চাকমা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বুদ্ধ জ্যোতি চাকমা, ম্রো সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি রাংলাই ম্রো প্রমুখ ।
এছাড়া সভায় বান্দরবানের বিভিন্ন মৌজার হেডম্যান কারবারিরা অংশ নেয়। উল্লেখ্য, গত ২ ও ৩ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালিয়ে কেএনএফ সদস্যরা অস্ত্র গুলি ও টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর বান্দরবানের দুর্গম এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে।