রাঙ্গামাটি বাঘাইছড়ি উপজেলার কাচালং নদীতে নির্মিত পুরাতন সেতুর পাটাতন ভেঙ্গে পাথর বোঝাই একটি ট্রাকের একাংশ ঢেবে গিয়ে ট্রাকটি সেতুতেই আটকা পড়ে। এতে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাথে সারাদেশের যান চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
সোমবার (৮ মে) সকালে সীমান্ত সড়কের জন্য নিয়ে আসা পাথর বোঝাই একটি ট্রাক সেতুতে উঠার পরপরই পাটাতন ভেঙ্গে নিচে পরে যায়। এতে সেতুর দুই পাশে শতাধিক যানবাহন আটকা পরে বহুমানুষ দূর্ভোগে পরেন। তাৎক্ষনিকভাবে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা ও খবর পেয়ে খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগ ঘটনাস্থলে এসে নতুন সড়কের কাঁচা রাস্তা ৪ ঘন্টা ব্যাপী আংশিক সংস্কার করে ছোট যান সমূহ চলাচলের উপযুক্ত করে। বর্তমানে বড় যান সমূহের চলাচল বন্ধ রয়েছে। আটকে পড়া ট্রাক উদ্ধারে সীমান্ত সড়ক নির্মানকারী প্রতিষ্টানের সেনা সদস্যরা কার্যক্রম চালাচ্ছে। এতে সেতুর দুই পাশে শতাধিক যানবাহন আটকা পরে বহু মানুষ দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
জানা গেছে, পুরাতন সেতুর মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় ২০১৬ সালের ১১ জানুয়ারী নতুন সেতুর কাজ শুরু করে সড়ক জনপদ বিভাগ। ২০১৯ সালের জানুয়ারীতে কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ ৭ বছরেও শেষ হয়নি সেতুর কাজ। তাই ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও বাধ্য হয়ে যান চলাচল করতে হয় পুরাতন সেতুতে।
খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমান বলেন, পাটাতন ভাঙ্গার সংবাদ পাওয়ার পরপরই আমাদের সকল ইউনিটকে কাজে নামিয়েছি। অল্প সময়ের মধ্যে সেতু মেরামতের কাজ শুরু করবো। এছাড়াও নতুন সেতুর কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়কের কাজ কিছু বাকী রয়েছে। তারও সম্পন্ন করণে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগ জানায়, ১১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগ ২০১৬ সালের ১১ জানুয়ারি এই সেতু তৈরির কাজ শুরু করে। ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি কাজ শেষ করার কথা ছিল। কুমিল্লা জেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রানা বিল্ডার্স সেতুটি নির্মাণ করছে।
নির্মাণাধীন অবস্থায় এর আগেও একবার এই সেতুর গার্ডারটি ভেঙে পড়ে। স্থানীয়রা জানায়, সেতু নির্মাণে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় এর আগেও দুইবার গার্ডার ভেঙে পড়েছিলো। সেতু ভেঙ্গে পড়ার সংবাদ পাওয়ার পরপরই ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম এসময় তিনি নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।