অভিষেকের পর থেকেই দারুণ বোলিং করছেন। দিন যত যাচ্ছে, গতি আর ধার—দুটিই বাড়ছে নাহিদ রানার। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল কিংস্টন টেস্টে পেয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেট।
ক্রেইগ ব্রাফেট, কাভেম হজদের গতি দিয়ে রীতিমতো নাকানিচুবানি খাইয়েছেন। নাহিদ রানা যে এমনটা করতে পারেন, সেটা জানত টিম ম্যানেজমেন্ট। বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ আন্দ্রে অ্যাডামস নাহিদ রানার প্রশংসায় বলেছেন—ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করলে উইকেট পাবেনই।
নাহিদ রানার দারুণ বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাঁদের প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসেই ১৮ রানের লিড পেয়েছিল মেহেদী হাসান মিরাজের দল।
নাহিদ রানার ক্যারিয়ারের সেরা দিনবিসিবি
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪১.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৩ রানে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের লিড ২১১ রানের। বলা যায় বেশ সুবিধাজনক অবস্থানেই আছে বাংলাদেশ। এর বড় কৃতিত্ব ফাস্ট বোলার নাহিদ রানার।
দিন শেষে নাহিদ রানার প্রসঙ্গে বোলিং কোচ বলেছেন, ‘আমরা জানতাম কোনো না কোনো পর্যায়ে এমনটা হবে। আপনি যখন ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করবেন, আপনি আসলে উইকেট পাবেনই। আমাদের ওকে দেখেশুনে রাখতে হবে। এ কারণেই ও প্রথম ম্যাচে খেলেনি। ভাগ্য ভালো যে ওর আশপাশে তাসকিন ও হাসানের মতো পেসার আছে, যারা মাঠে ওর মনোযোগ ঠিক রাখে।’
বিসিবি প্রকাশিত এক ভিডিওতে নিজের বোলিং নিয়ে কথা বলেছেন নাহিদ রানাও। কোন উপায়ে মিলছে সাফল্য, জানিয়েছেন তিনি, ‘ব্যাটসম্যানরা এখানে অনেক কিছু চেষ্টা করে, তাই বোলারদের বেশি কিছু চেষ্টা না করে লাইন টু লাইন বোলিং করা ভালো।’
ব্যাটসম্যানরা এখানে অনেক কিছু চেষ্টা করে, তাই বোলারদের বেশি কিছু চেষ্টা না করে লাইন টু লাইন বোলিং করা ভালো।
নাহিদ রানা
ম্যাচে নিজেদের জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে এই ফাস্ট বোলার বলেন, ‘আমরা এখন ভালো জায়গায় আছি, এখান থেকে যদি ২৫০ রানের ওপরে যেতে পারি, চার নম্বর দিনে উইকেট কঠিন হবে, বাউন্স অসমান থাকবে, স্পিনাররা টার্ন পাবে, চার নম্বর দিন থেকে ভালো কিছু একটা বের করব ইনশা আল্লাহ।’