নারায়ণগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্র সীমান্ত হত্যায় ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার, মুঠোফোন উদ্ধার
সিএইচটি টিভি ডেস্ক
  • প্রকাশিত : 18-12-2024
ফাইল ছবি : সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. ওয়াজেদ সীমান্ত (২০) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মো. অনিক (২৮) নামের এক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসপি প্রত্যুষ কুমার মজুমদার এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তার অনিক সদর থানার গোপচর সুকুম পট্টি এলাকার মো. নয়ন ওরফে মরু সাহার ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে ছিনতাই, ডাকাতির প্রস্তুতি ও মাদকসহ আটটি মামলা এবং দুটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। পুলিশের দাবি, এ হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা তিনি।

 

পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার ভোরে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ছাত্র ওয়াজেদ সীমান্ত তাঁর দেওভোগের বাড়ি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে রওনা হন। সকাল ছয়টার দিকে বাড়ির পাশের ডিআইটি আলী আহাম্মদ চুনকা পাঠাগারের সামনে দুর্বৃত্তরা ওয়াজেদকে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি মুঠোফোন ও ১ হাজার ৮০০ টাকা লুট করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত ওয়াজেদকে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওয়াজেদের মৃত্যু হয়।

 

এ ঘটনায় নিহত ওয়াজেদের বাবা মো. আলম পারভেজ বাদী হয়ে গত রোববার নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অনিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের সময় তাঁর কাছ থেকে লুট হওয়া মুঠোফোন এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়। ওয়াজেদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান পুলিশ সুপার।

এদিকে ওয়াজেদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে আজ সকালে শহরে বিক্ষোভ করেছেন নিহত ওয়াজেদের এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যরা।

ওয়াজেদের বাবা আলম বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে ওয়াজেদ ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার পর পথচারীরা তাঁকে খবর দেন। খবর পেয়ে তাঁকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছিল। শনিবার রাত ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।


 

শেয়ার করুন