নতুন বছরের শুরু থেকেই একটার পর একটা বিপদে সাইফ আলী খান। মাস কয়েক আগেই সাইফের বাড়িতে হামলা চালায় এক দুর্বৃত্ত। এবার ১৩ বছর আগের এক ঝামেলা যেন গলার কাঁটা হয়ে আছে অভিনেতার। যদিও সেই ঝামেলায় একা সাইফ ছিলেন না, সঙ্গী ছিলেন কারিশমা কাপুর, মালাইকা অরোরা ও অমৃতা অরোরা। ঠিক কী ঝামেলায় জড়িয়েছেন সাইফ? জেনে নেওয়া যাক হিন্দুস্তান টাইমস অবলম্বনে
বন্ধুদের নিয়ে মুম্বাইয়ের একটি বিলাসবহুল হোটেলে খাওয়াদাওয়া করতে গিয়েছিলেন অভিনেতা। নিজেদের মধ্যে গল্পগুজবে মশগুল ছিলেন তাঁরা। তাঁদের হাসাহাসি নিয়ে আপত্তি জানান ইকবাল মীর শর্মা নামের এক প্রবাসী ভারতীয় ব্যবসায়ী।
সাইফ আলী খান। অভিনেতার ইনস্টাগ্রাম থেকে
তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক। খাবার টেবিলে সাইফদের উচ্চস্বরে হাসাহাসিতে আপত্তি জানান তিনি। তাতেই নাকি প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে সাইফ তাঁকে ধমক দিতে শুরু করেন। এমনকি রাগ সামলাতে না পেরে সেই ব্যবসায়ীর নাকে ঘুষি মেরে দেন। তারপর ওই ব্যবসায়ী কোলাবা থানায় সাইফের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রবাসী ওই ব্যবসায়ী এত সহজে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র ছিলেন না। সাইফকে আদালত পর্যন্ত টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। যদিও সাইফ এ ঘটনা প্রসঙ্গে অন্য কথা বলেছেন। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী, সেই ব্যবসায়ী অভিনেতার সঙ্গে থাকা নারীদের অসম্মান করেছিলেন। পরে সাইফ নাকি ক্ষমা চেয়েছিলেন। কিন্তু কথা শুনতে নারাজ তিনি। শৌচাগারে ঢুকে পাল্টা সাইফকে মারধর করা শুরু করেন। সেদিনের ঘটনায় সাক্ষী অমৃতা ও মালাইকাকে এখন ফের আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে।
২০১৪ সালের এ ঘটনায় একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয় সাইফ আলী খান, শাকিল লাদাখ ও বিলাল আমরোহির বিরুদ্ধে। ২০১৭ সালে ইচ্ছাকৃত আঘাত করার অভিযোগে মামলা হয় সাইফের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওঠে শিল্পপতির শ্বশুরকেও হেনস্তা ও মারধর করা হয়েছে।
সেশন আদালতের দ্বারস্থ হন সাইফ। তবে ২০১৯ সালের তাঁর মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। এরপর ২০২৩ সালে সাইফকে বেকসুর খালাস করেন আদালত। তবে বিচার শেষ হওয়ার আগে ও বাকি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রায়দানের আগে বিশেষ নজর রয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের ওপর। সে কারণেই গত সপ্তাহে এ মামলায় তলব করা হয় মালাইকা অরোরাকে।