বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে জাতিসংঘে। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর, স্থানীয় সময়) সংস্থাটির প্রেস ব্রিফিংয়ে মহাসচিব অ্যান্থোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডোজারিক ফের তাগিদ দিয়েছেন বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর, স্থানীয় সময়) জাতিসংঘের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র ডোজারিক বলেন, বিষয়টি (বাংলাদেশের নির্বাচন ও মানবাধিকার) আমরা অব্যাহতভাবে সব পক্ষের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছি এবং জাতিসংঘ তরফ থেকে বারবার একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলে আসছি। আমরা এমন অবস্থা দেখতে চাই, যেখানে সব বাংলাদেশিরা কোনো ধরনের ভীতি প্রদর্শন এবং প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই যেন ভোট কার্যক্রমে অংশ নিতে পারে।
এর আগে বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রবার্ট এ. কেনেডি হিউম্যান রাইটস (আরএফকেএইচআর), ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রজেক্ট (সিপিজেপি), দ্য ইউনাইটেড এগেইনস্ট টর্চার কনসোর্টিয়াম (ইউএটিসি), এশিয়ান ফেডারেশন এগেইনস্ট ইনভলান্টারি ডিজঅ্যাপেয়ান্সেস (এএফএডি), এন্টি-ডেথ পেনাল্টি এশিয়া নেটওয়ার্ক (এডিপিএএন) এবং ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিশন এগেইনস্ট এনফোর্সড ডিজঅ্যাপেয়ারেন্সেসের (আইসিএইডি) ওয়েবসাইটে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয় নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এখানে মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং নাগরিক সমাজের স্থান সংকুচিত হয়ে আসায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তারা।
বিবৃতিতে তারা বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ৪টি সুপারিশ তুলে ধরেছে। তাতে বাংলাদেশের মানবাধিকার ও নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সুপারিশগুলো হলো-
১. প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা, নিজের স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিগত সততাকে যাতে সম্মান করা হয়, সুরক্ষিত রাখা হয়- তা নিশ্চিত করতে হবে।
২. অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে সব রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। খেয়ালখুশিমতো আটক অধিকারকর্মী এবং বিরোধীদলীয় সদস্যদের মুক্তি দিতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ বিচারিক প্রক্রিয়া।
৩. ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের পূর্ণাঙ্গ এবং পক্ষপাতহীন তদন্ত করতে হবে। এর মধ্যে থাকবে মৃত্যু এবং নির্যাতনের অভিযোগগুলোও।
৪. আন্তর্জাতিকমানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ডাটা সুরক্ষা আইনের খসড়াকে পুনর্মূল্যায়ন এবং রিভাইস করতে হবে। নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও অধিকারকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।