ক্ষমতাচ্যুত ইমরান খান সব সময়ই বলে এসছেন, অনাস্থা ভোটের পেছনে আছে বিদেশি ষড়যন্ত্র আর সেই ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে তিনি এক মার্কিন কর্মকর্তার নামও উল্লেখ করেছেন। যদিও তার এই অভিযোগকে যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই ভিত্তিহীন বলে আসছে। এমনকি পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ দপ্তরের ডিজিও বলেছেন, ইমরান যখন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন, তখন তিনি ষড়যন্ত্র শব্দটি উল্লেখ করেননি। বলেছেন, ওই গোপন চিঠিতে অকূটনৈতিক ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে।
তবে ইমরান করাচির জনসভায় তার সমর্থকদের কাছে প্রশ্ন ছুড়েছেন, অকূটনৈতিক ভাষা আর হস্তক্ষেপের মধ্যে পার্থক্য কী?
জনসভায় ইমরান খান বলেন, আমি এখানে বিশেষ কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলতে এসেছি। কারণ এই সমস্যা আপনার ও আপনার সন্তানের ভবিষ্যতের। এটা আমাদের দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। সাবধানতার সাথে শুনবেন। এটা কী ষড়যন্ত্র বা হস্তক্ষেপ ছিল না? আপনার হাত তুলুন এবং আমাকে বলুন, এটা ষড়যন্ত্র নাকি হস্তক্ষেপ?
ইমরান খান আরও বলেন, এটা আমাদের দেশের বিরুদ্ধে বড় মাপের বিদেশি ষড়যন্ত্র ছিল। ইমরান বিদেশ বিদ্বেষী নয় দাবি করে বলেন, আমি আপনাদের বলতে চাই, আমি কখনোই কোন দেশের বিপক্ষে ছিলাম না। আমি ভারত বিদ্বেষী নই, আমি ইউরোপ কিংবা আমেরিকা বিদ্বেষী নই। আমি বৈশ্বিক নাগরিক। আমি কোনও জাতির বিপক্ষে নই। আমি সবার সাথে বন্ধুত্ব চাই, তবে কারও দাসত্ব করতে রাজি নই।