বার্তা আদান–প্রদানের জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন হোয়াটসঅ্যাপ প্রতি রাতে ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি করছে, খুদে ব্লগ লেখার সাইট এক্সের (সাবেক টুইটার) মালিক ইলন মাস্কের এমন বিস্ফোরক মন্তব্যের পর পাল্টা জবাব দিয়েছেন হোয়াটসঅ্যাপের প্রধান উইল ক্যাথকার্ট। এক্সে দেওয়া এক বার্তায় ক্যাথকার্ট সরাসরি ইলন মাস্কের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, এটি একেবারেই সত্যি নয়।
উইল ক্যাথকার্ট এক্স পোস্টে লিখেছেন, ‘এর আগে এটি অনেকে বলেছেন, কিন্তু আবারও বলছি, এটি সত্য নয়। আমরা নিরাপত্তার বিষয়কে খুবই গুরুত্ব দিই। এ জন্য আপনাদের (ব্যবহারকারীদের) বার্তাকে আমরা “এন্ড টু এন্ড এনক্রিপটেড” করেছি। প্রতি রাতে আমরা ব্যবহারকারীর তথ্য অন্য কোথাও পাঠাই না। কেউ তাঁর বার্তার ব্যাকআপ রাখতে চাইলে নিজের পছন্দের ক্লাউড সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সেবা নিতে পারেন। এখানেও এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন–ব্যবস্থা রয়েছে।’
শুধু উইল ক্যাথকার্টই নন, ইলন মাস্কের অভিযোগ নিয়ে মতামত দিয়েছেন মেটার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিভাগের প্রধান ইয়ান লেচুন। মেটার প্ল্যাটফর্ম থ্রেডসে তিনি ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে বিতর্ক তৈরির অভিযোগ তুলেছেন। শুধু তা–ই নয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে ইলন মাস্ক অবাস্তব দাবি করেন বলে লেখেন মেটার এই কর্মকর্তা।
ইলন মাস্ক অবশ্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচিত। টুইটার কিনে নাম বদলে এক্স করা, কর্মী ছাঁটাই করাসহ নানা বিষয়ে তাঁর নাম বিভিন্ন সময় আলোচিত–সমালোচিত। এমনকি মেটা ও মার্ক জাকারবার্গকে নিয়েও বিভিন্ন সময় মন্তব্য করেন তিনি। সম্প্রতি এক্সে এক বার্তায় হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এক্স বার্তায় ইলন লেখেন, প্রতি রাতে ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করে হোয়াটসঅ্যাপ। তবুও অনেকেই এ প্ল্যাটফর্মকে সুরক্ষিত মনে করেন।
অবশ্য নিরাপত্তাগবেষক টমি মিস্ক এ প্রসঙ্গে খানিকটা ইলন মাস্ককে সমর্থন দিয়ে বার্তা দিয়েছেন। এক্স পোস্টে তিনি লিখেছেন, হোয়াটসঅ্যাপের বার্তা এন্ড টু এন্ড এনক্রিপটেড। কিন্তু ব্যবহারকারীর তথ্য শুধু বার্তা নয়। এর মধ্যে ব্যবহারকারীর অবস্থানসহ বিভিন্ন মেটাডেটা রয়েছে। এসব মেটাডেটা মেটার বিভিন্ন সেবায় টার্গেটেড বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত হয়। তাই ইলন মাস্ককে সঠিক বলা যায়।