ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত হওয়ার পর সংগঠনটির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। এতে হামাস বলেছে, জায়নবাদী (ইসরায়েল রাষ্ট্রের কট্টর সমর্থক) হামলায় ইসমাইল হানিয়া নিহত হয়েছেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আজ বুধবার সকালে ইসমাইল হানিয়ার নিহত হওয়ার খবর প্রচার করে। টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, রাজধানী তেহরানে হামলায় ইসমাইল হানিয়া ও তাঁর একজন দেহরক্ষী নিহত হন।
এরপর ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী হামাসের শীর্ষ নেতার নিহত হওয়ার খবর জানিয়ে বিবৃতি দেয়। তবে তিনি কীভাবে নিহত হয়েছেন, সে বিষয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।
হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভাই, নেতা, মুজাহিদ ও আন্দোলনের প্রধান ইসমাইল হানিয়া তেহরানে তাঁর সদর দপ্তরে একটি জায়নবাদী হামলায় নিহত হয়েছেন। এর আগে তিনি ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।’
ইসমাইল হানিয়া ২০১৭ সালে হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান নির্বাচিত হন। পরের বছর তাঁকে ‘সন্ত্রাসী’ তকমা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। জানা যায়, কয়েক বছর ধরে হানিয়া কাতারে বসবাস করে আসছিলেন।
গত এপ্রিলে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনার জন্য দেশটিতে সফর করেছিলেন হানিয়া। একই মাসে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হানিয়ার তিন ছেলে হাজেম, আমির ও মুহাম্মদ ইসমাইল এবং তাঁর অন্তত তিন নাতি-নাতনি নিহত হন।