৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করলে হিতে বিপরীত হবে না তো?
সিএইচটি টিভি ডেস্ক
  • প্রকাশিত : 04-01-2025
ফাইল ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের সংবিধানের অগণতান্ত্রিকতার বিষয় নিয়ে কথা বলতে গেলে প্রথমেই সামনে আসে সংবিধানের বিতর্কিত অনুচ্ছেদ ৭০। অনেকের কাছেই রাজনৈতিক দলগুলোকে স্বৈরাচারী করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে এই অনুচ্ছেদ।

সংবিধান প্রণয়নের সময় থেকেই চলছে এই বিতর্ক। তাই এই অনুচ্ছেদের সংস্কার অথবা বাদ দেওয়ার ব্যাপারে মোটামুটি একটি জাতীয় ঐকমত্য গড়ে উঠেছে বলা যায়।
কিন্তু ঐকমত্য হলেই কি সেটি সঠিক দিকে ধাবিত হচ্ছে? সে ব্যাপারে সংক্ষিপ্ত আলোচনাই এই লেখার উদ্দেশ্য। এ ছাড়া বাংলাদেশের মতো কনফ্রন্টেশনাল ডেমোক্রেসিতে ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করলে দেশে কী ধরনের নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে, সেটিও কি বিবেচনা করা দরকার নয়?

গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের সংবিধানকে ‘গণতান্ত্রিক করতে’ সংবিধান সংস্কার–সংক্রান্ত কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন করে শুরু হয়েছে এই অনুচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা।

 

এই বিতর্ক আরেকবার উসকে দিয়েছেন বর্তমানে দেশের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, অনুচ্ছেদ ৭০ এর কারণে সংসদ সদস্যরা স্বাধীন মত প্রকাশ করতে পারেন না এবং রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গই আইনসভা, নির্বাহী বিভাগ এবং বিচার বিভাগ এক ব্যক্তির হাতে চলে গেছে।

অনুচ্ছেদ ৭০ এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিটও দাখিল করা হয়েছে।
অনুচ্ছেদ ৭০ বলছে, ‘কোন নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরূপে মনোনীত হইয়া কোন ব্যক্তি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি-(ক) উক্ত দল হইতে পদত্যাগ করেন, অথবা (খ) সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন, তাহা হইলে সংসদে তাঁহার আসন শূন্য হইবে, তবে তিনি সেই কারণে পরবর্তী কোন নির্বাচনে সংসদ-সদস্য হইবার অযোগ্য হইবেন না।’

পদত্যাগ করলে সদস্যপদ যাবে সেটি নিয়ে ব্যাখ্যা হয়তো নিষ্প্রয়োজন। কারণ, কোনো ব্যক্তির ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো পদে রাখতে অথবা কাজ করানো যায় না।

তবে অন্য বিষয়টি খুব সহজভাবে বলতে গেলে, নৌকা মার্কায় নির্বাচিত হয়ে কোনো সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সংসদে ভোট দিতে পারবেন না। ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত হয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন না।

 

অধিকাংশ বিশিষ্টজনের মতে, জনগণের পক্ষে কথা বলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হয়ে সংসদ সদস্যরা দলের অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেন না। কথা বললেই সংসদ সদস্যের সদস্যপদ বাতিল হয়ে যায়।

হয়তো এই ধারণা থেকেই সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান আলী রীয়াজ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অনুচ্ছেদ ৭০ ব্যাপকভাবে সংস্কার করার সুপারিশ করা হবে।

আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, অনুচ্ছেদ ৭০ পরিবর্তন করতেই হবে, যাতে সংসদ সদস্যরা প্রয়োজনে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে ভোট দিতে পারেন। অর্থাৎ একজন সংসদ সদস্য ক্ষমতাসীন দলের প্রতীকে নির্বাচিত হয়েও প্রয়োজন মনে করলে দেশের স্বার্থে বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারবেন। আবার বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরাও দলের হুইপিংয়ের বাইরে গিয়ে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে ভোট দিতে পারবেন। যেমনটি দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে।

কিন্তু সত্যিই কি সংসদ সদস্যরা ৭০ অনুচ্ছেদের কারণে দলের সমালোচনা করতে পারেন না? দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারেন না? সদস্যপদ হারান?

 

২০০১-২০০২ সাল থেকে সংসদ নিয়ে লেখালেখির অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, অনুচ্ছেদ ৭০ এর কারণে সংসদ সদস্যরা দলের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেন না, কথাটি পুরোপুরি সত্যি নয়। তাতে সদস্যপদও সব সময় যায় না।

উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, ২০০৯ সালের নবম সংসদের প্রথম অধিবেশনে আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিলসহ একাধিক সংসদ সদস্য দলের কার্যক্রম নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ যেভাবে চলছে তাতে দলের ভবিষ্যৎ ভালো নয়। হলমার্ক কেলেঙ্কারির পর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ‘চার হাজার কোটি টাকা কিছু না’ মন্তব্যের জেরে জলিলসহ দলের একাধিক সংসদ সদস্য তাঁকে দুঃখিত বলতে বাধ্য করান। দুই দিন ধরে চলা এই বক্তব্যের পর কোনো সমালোচনাকারী সংসদ সদস্যের পদ যায়নি।

একই সংসদে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে এক দিনেই দুটি সিদ্ধান্ত পাস করে ফেলেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা। যার কারণে কোনো সংসদ সদস্যের সদস্যপদ যায়নি। আবার তাঁরা পরবর্তী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হননি।

শুধু আওয়ামী লীগের আমলে নয়, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে (২০০১-২০০৬) বিএনপির দুই সংসদ সদস্য দলের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। একজন হলেন রাজশাহীর বাগমারা আসনের আবু হেনা এবং অন্যজন খুলনা দৌলতপুর আসনের সংসদ সদস্য ও হুইপ আশরাফ হোসেন। তাঁর নির্বাচনী আসনে বাংলা ভাই ও বাংলাদেশে জঙ্গি কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনা করার পর ২০০৫ সালের ২৪ নভেম্বর আবু হেনাকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি। কিন্তু তিনি সংসদের বাকি মেয়াদ স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ওই সংসদের স্পিকার ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার আমাকে বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘দলের বিরুদ্ধে কথা বলার অথবা সমালোচনার ব্যাপারে অনুচ্ছেদ ৭০ কোনো সমস্যা নয়। সংসদের ভেতরে এবং বাইরে দলের সমালোচনা করুক কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু সংসদে ভোটাভুটির প্রশ্ন থাকলে তাঁকে দলের পক্ষে ভোট দিতে হবে। দলের বিরুদ্ধে ভোট দিলে তবেই সদস্যপদ যাবে। আবু হেনা পদত্যাগ করেননি অথবা দলের বিরুদ্ধে ভোটও দেননি। তাই তাঁর সদস্যপদ খারিজ হয়নি।’

আবু হেনার সদস্যপদ খারিজের বিষয়ে দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বলা হলেও জমিরউদ্দিন সরকার তাঁর অবস্থান থেকে সরে আসেননি বলে তিনি আমাকে জানান।
২০০৭ সালের বাতিল হওয়া নির্বাচনে আবু হেনা বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
বর্তমানে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭০ যে কাঠামোতে রয়েছে, সেটি ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানে সেভাবেই ছিল।

 

তবে ড. কামালের নেতৃত্বে সংবিধানের যে খসড়া গণপরিষদে পেশ করা হয়, সেখানে আরও বলা হয়েছিল, যে দল থেকে একজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন সেই দল তাঁকে বহিষ্কার করলে তিনি সদস্যপদ হারাবেন। এই বিধানটি গণপরিষদের সদস্যদের জন্য প্রযোজ্য ছিল।

আব্দুল হক সম্পাদিত ‘সংসদীয় রীতি ও পদ্ধতি’ বইয়ে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর পিতা আখতারুজ্জামান বাবুকে গণপরিষদ থেকে বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। যদিও সাইফুজ্জামান চৌধুরী একবার সংসদে এ বিষয়ে বলেছেন, তাঁর বাবাকে বহিষ্কার করা হয়নি। তাঁর বক্তব্যের পক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করেননি তিনি।

সংবিধান গৃহীত হওয়ার সময় আলোচনার সময় এই বিধানটির ব্যাপক সমালোচনা করেন বিরোধীদলীয় সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তবে আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য নুরুল হকের (নোয়াখালী-৩) প্রস্তাব মোতাবেক বর্তমান কাঠামো অনুযায়ী অনুচ্ছেদটি গৃহীত হয়। অর্থাৎ কেবল পদত্যাগ করলে অথবা সংসদে দলের বিরুদ্ধে ভোট দিলেই সদস্যপদ যাবে; সমালোচনা করলে যাবে না।

অনুচ্ছেদ ৭০ থাকার কারণে বর্তমানে আইন ও বাজেট পাসের ক্ষেত্রে দলের প্রাধান্য থাকে, সেটি নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। কিন্তু সেটি বন্ধ করতে গিয়ে অনুচ্ছেদ ৭০ বাদ দেওয়া হলে সেটি হবে আরও মারাত্মক ভুল। দেশে নতুন করে আরেকটি দুর্নীতির পথ খুলে দেওয়া হবে। আমরা সবাই চাই রাজনৈতিক দুর্নীতি বন্ধ করতে, আরেকটি ফ্রন্ট সৃষ্টি করতে নয়।

সংবিধানে কেন ৭০ অনুচ্ছেদ সন্নিবেশিত হলো তার একটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট রয়েছে। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর ১৯৫১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা হয় ১৯৫৪ সালে, যেখানে আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য দলের সমন্বয়ে গঠিত যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগকে ব্যাপকভাবে পরাজিত করে।

বাংলাপিডিয়ার তথ্য অনুসারে, ৩০৯টি মুসলিম আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২২৩টি আসনে জয়লাভ করে। পক্ষান্তরে ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ মাত্র ৯টি আসন লাভ করে।

যুক্তফ্রন্ট সরকার বেশি দিন টিকে থাকতে পারেনি। এর অন্যতম কারণ ছিল সংসদ সদস্যরা দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারতেন। শুরু হয় টাকা দিয়ে সংসদ সদস্যদের ভোট কেনাবেচা। যাকে সংসদীয় ভাষায় হর্সট্রেডিং বলা হয়। তাঁরা একেক সময় একেক অবস্থান নিতেন। ফলে বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও যুক্তফ্রন্ট সরকার টেকেনি।
পূর্ব পাকিস্তানে এই অরাজকতার ফলে ১৯৫৮ সালে সুযোগ নেন সামরিক শাসক ইস্কান্দার মির্জা এবং ২০ দিন পর তাঁকে হটিয়ে এক দশকের সামরিক শাসন দিয়ে পুরো পাকিস্তান শাসন করেন ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান।

যুক্তফ্রন্ট সরকারে হর্সট্রেডিংয়ের নেতিবাচক অভিজ্ঞতার আলোকে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে সংসদে ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতার বিধানটি সংযুক্ত করা হয়।

সেই কারণেই সরকারের অখণ্ডতা রক্ষায় গণপরিষদসহ বাংলাদেশের সংবিধানে অনুচ্ছেদ সংযোজন করা হয়। তবে আলোচনার মাধ্যমে সংবিধানপ্রণেতারা দেখিয়েছেন যে জনগণের ভোটে নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধিকে দল বহিষ্কারের মাধ্যমে জনগণের রায়কে বাতিল করতে পারে না। এখানে দলের চেয়ে জনগণের রায়কে বড় করে দেখানো হয়েছে।

তবে কেন দলের পক্ষেই ভোট দিতে হবে? এটি করা হয়েছে মূলত বাস্তবতার নিরিখে। ধরে নিন দলের পক্ষে ভোট দেওয়ার বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া হলো। তখন দেখা যাবে, সরকার তাঁর জরুরি প্রয়োজনে কোনো বিল পাস করতে পারছে না। যদি বিল পাস করতে না পারে সেক্ষেত্রে সরকার প্রয়োজনীয় আইন করতে পারবে না। এমনকি স্বাধীনভাবে রাজনৈতিক ঘোষণা অনুসারে বাজেটও পাস করতে পারবে না। বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও কায়েমি গোষ্ঠী সংসদ সদস্যদের অর্থ প্রদান করে বিল পাস, এমনকি বাজেট পাসও ঠেকিয়ে দিতে পারে।

আবার দেখা যাবে, সরকার কোনো আইন করতে গেলে বিভিন্ন ধরনের চাপগোষ্ঠীর (প্রেশার গ্রুপ) উদ্ভব হবে। তারা তাদের সুবিধামতো বিভিন্ন ধারা আইনে সংযোজন করতে বাধ্য করবে, যা দেশের জন্য কোনোভাবেই মঙ্গলজনক হবে না।

অনুচ্ছেদ ৭০ থাকার কারণে বর্তমানে আইন ও বাজেট পাসের ক্ষেত্রে দলের প্রাধান্য থাকে, সেটি নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। কিন্তু সেটি বন্ধ করতে গিয়ে অনুচ্ছেদ ৭০ বাদ দেওয়া হলে সেটি হবে আরও মারাত্মক ভুল। দেশে নতুন করে আরেকটি দুর্নীতির পথ খুলে দেওয়া হবে। আমরা সবাই চাই রাজনৈতিক দুর্নীতি বন্ধ করতে, আরেকটি ফ্রন্ট সৃষ্টি করতে নয়।

এ ছাড়া যেসব সংসদ সদস্য মন্ত্রিত্ব পাবেন না অথবা প্রভাবশালী সংসদ সদস্যরা তাঁদের স্বার্থের কারণে বিভিন্ন সময় সরকার ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। সরকারের স্থায়িত্ব থাকবে না এবং দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হবে না। সুশাসন আসবে না।

সংবিধানে অনুচ্ছেদ ৭০ সংযোজন বিষয়ে আলোচনার একপর্যায়ে সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রধান ও  তৎকালীন আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন গণপরিষদকে জানান, সংসদীয় গণতন্ত্রের জন্য একটি সুশৃঙ্খল ‘পার্টি সিস্টেম’ দরকার। সেটি না থাকলে সমস্যা হবে।

ড. কামাল হোসেন যেমন তাঁর বক্তব্যে সঠিক, তেমনি এ কথাও বলতে হবে যে অনুচ্ছেদ ৭০ কিছুটা সংস্কার করে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, সংসদ সদস্যরা দলের সমালোচনা করতে পারবেন। তবে দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারবেন না।


 

শেয়ার করুন