গুগল ম্যাপস ব্যবহার করে বিভিন্ন স্থানের অবস্থান জানার পাশাপাশি সেখানে যাওয়ার দিকনির্দেশনাও দেখা যায়। এমনকি কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে অন্য একটি স্থানের দূরত্ব, যেতে কত সময় লাগবে, ট্রাফিক পরিস্থিতি কেমন, সেটি জানার পাশাপাশি চাইলে নিজের অবস্থানের তথ্যও অন্যদের জানানো সম্ভব। এবার হঠাৎ করেই মেক্সিকো উপসাগরের নাম ‘গালফ অব মেক্সিকো’র বদলে ‘গালফ অব আমেরিকা’ দেখাবে গুগল ম্যাপস।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে সম্প্রতি ‘গালফ অব মেক্সিকো’র নাম বদলে ‘গালফ অব আমেরিকা’ করেছেন। গুগল জানিয়েছে, ট্রাম্পের এই আদেশের ভিত্তিতেই তাদের ম্যাপস প্ল্যাটফর্মে মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করা হবে।
ট্রাম্পের আদেশ যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দাপ্তরিক নামকরণপ্রক্রিয়ার অংশ হলেও এটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। তবে গুগল জানিয়েছে যে তারা দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি নথিতে থাকা তথ্য অনুযায়ী গুগল ম্যাপসে স্থানের নামকরণ হালনাগাদ করে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভৌগোলিক তথ্যভান্ডার জিওগ্রাফিক নেমস ইনফরমেশন সিস্টেম (জিএনআইএস) ভূখণ্ডসহ প্রাকৃতিক স্থানের নাম সংরক্ষণ করে থাকে। গত সোমবার পর্যন্ত জিএনআইএসের নথিতে মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করা হয়নি। তবে ট্রাম্পের আদেশ অনুযায়ী, ৩০ দিনের মধ্যে জিএনআইএসকে নথি হালনাগাদ করে ‘গালফ অব মেক্সিকো’র স্থলে ‘গালফ অব আমেরিকা’ লিখতে হবে। জিএনআইএসের নথি হালনাগাদ করার পরপরই গুগল ম্যাপসে পরিবর্তন আনবে গুগল।
গুগল জানিয়েছে, মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন কেবল যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীদের জন্য সীমাবদ্ধ থাকবে না। বিশ্বব্যাপী গুগল ম্যাপস ব্যবহারকারীরাও নতুন নাম দেখতে পারবেন। যেসব স্থানের নাম দেশভেদে ভিন্ন, সেসব ক্ষেত্রে গুগল স্থানীয় নামকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। কোনো স্থানের নাম দেশভেদে আলাদা হলে স্থানীয় ব্যবহারকারীরা তাঁদের দেশের সরকারি নাম দেখেন। তবে অন্য দেশ থেকে গুগল ম্যাপসে উভয় নামই দেখা যায়। এ ক্ষেত্রেও একই নিয়ম অনুসরণ করা হবে। ‘গালফ অব মেক্সিকো’ যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া মেক্সিকো ও কিউবার সীমানায়ও অবস্থিত। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীরা এটি ‘গালফ অব আমেরিকা’ নামে দেখতে পেলেও অন্য দেশের ব্যবহারকারীরা ‘গালফ অব মেক্সিকো’ ও ‘গালফ অব আমেরিকা’ উভয় নামই দেখতে পাবেন।
সূত্র: ম্যাশেবল