সমুদ্র পথে রাশিয়া যেসব জ্বালানি তেল রপ্তানি করে সেসব তেলের একটি নির্দিষ্ট মূল্য বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্বের সাত বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশের জোট জি৭। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অস্ট্রেলিয়া। তবে রাশিয়ার তেলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আমদানিকারক দেশ ভারত জি৭ জোটের এ সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানায়নি। আর এ কারণে ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছে রাশিয়া।
রাশিয়ার তেলের একটি নির্দিষ্ট মূল্য বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জি৭ জোট। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যেসব দেশ বা কোম্পানি রাশিয়ার জ্বালানি তেল সমুদ্র পথে আমদানি করতে চায় তাদের প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেল ৬০ ডলার বা এর চেয়ে কমে কিনতে হবে। নয়তো জি৭ জোট, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর জাহাজ ও অন্যান্য সুবিধা ব্যবহার করে তেল আমদানি করতে দেওয়া হবে না।
গত ৫ ডিসেম্বর থেকে এটি কার্যকর হয়েছে। তবে রাশিয়ার তেলের দুই বড় আমদানিকারক দেশ চীন এবং ভারত জি৭ তথা পশ্চিমাদের সঙ্গে এ নিয়ে একমত হয়নি। খবর এনডিটিভির।
গতকাল শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাশিয়ায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত পাভান কুমারের সঙ্গে দেখা করেন রুশ উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার নোভাক। ওই বৈঠক শেষে ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি বিবৃতি দেয় রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে রাশিয়া বলেছে, জি৭ জোটের রাশিয়ার জ্বালানি তেলের মূল্য বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্তের সঙ্গে ভারতের একমত না হওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন উপ-প্রধানমন্ত্রী।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী, ২০২২ সালের প্রথম আট মাসে ভারতে রাশিয়ার জ্বালানি তেল আমদানির পরিমাণ ১৬.৩৫ মিলিয়ন টন পর্যন্ত পৌঁছেছে। পশ্চিমারা ভারতকে রাশিয়ার তেল বর্জনের আহ্বান জানালেও এ থেকে পিছপা হয়নি তারা। এর বদলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্য সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।