টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপ দেখতে গিয়ে সাবমেরিন নিখোঁজ। সাবমেরিন উদ্ধারের সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। ওশানগেট এক্সপিডিশনের সাবমেরিন টাইটানের সঙ্গে যোগাযোগ পুরোপুরি ছিন্ন হয়ে গেছে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে সংস্থাটি। সাবমেরিনটিকে উদ্ধার করার জন্য সব রকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সাবমেরিনটিতে পাঁচজন আছেন। আর তাতে চারদিনের মতো অক্সিজেন রয়েছে।
সোমবার (১৯ জুন) মার্কিন কোস্ট গার্ড জানায়, তারা ২১ ফিট লম্বা সাবমেরিনটির খোঁজ করছে। পানির নিচে জিনিস খুঁজতে পারে কানাডার এমন একটি বিমান তাদের সাহায্য করছে। তারা টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপের জায়গার আশপাশে অনেকখানি এলাকায় খোঁজ চালিয়েছেন। কিন্তু, কোনো সাবমেরিনের খোঁজ পাননি।
কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই পাঁচ যাত্রীকে নিয়ে সাবমেরিন রোববার (১৮ জুন) সকালে পানির নিচে যাত্রা শুরু করে। তার এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর সাবমেরিনের সঙ্গে সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।
কোম্পানিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, সাবমেরিনে পাঁচজনই সফর করতে পারেন। একজন ক্যাপ্টেন, একজন টাইটানিক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও তিনজন যাত্রী। যাত্রীদের এই সফরের জন্য দুই লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড দিতে হয়। এর আগেও অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপে নিয়ে গেছে এই সাবমেরিন।
আমিরাত-ভিত্তিক ব্রিটিশ ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিং নিখোঁজ সাবমেরিনে ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছিলেন, তিনি এই অভিযানে আছেন। তবে তিনি ওই পোস্টে খারাপ আবহাওয়ার কথাও লিখেছিলেন।
সরকারি কর্মকর্তারা বলেন, ‘সময় একটা বড় ব্যাপার। কারণ, সাবমেরিনে নির্দিষ্ট পরিমাণ অক্সিজেন রয়েছে। তার মধ্যেই সাবমেরিন ও যাত্রীদের খুঁজে বের করতে হবে। সি-১৩০ বিমান সমুদ্রের উপরে নজর রাখছে। পি-৮ বিমান সমুদ্রের নিচে কোনো ধাতব জিনিস আছে কি না, তার খোঁজ করছে। মার্কিন ও কানাডার কোস্ট গার্ড পুরো জায়গাটা খুঁজছে। তাদের সেই খোঁজে যুক্ত হয়েছে বাণিজ্যিক জাহাজও। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার নৌবাহিনীর সঙ্গে যোগাোগ করা হয়েছে। তারা কীভাবে পানির নিচে অনুসন্ধানে সাহায্য করতে পারে, তা জানার জন্য।