ফেসবুকে বন্ধু বা পরিচিত ব্যক্তিদের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট ফলো বা অনুসরণ করা যায়। যাঁদের অনুসরণ করা হয়, তাঁরা বন্ধুতালিকায় না থাকলেও তাঁদের প্রোফাইলের হালনাগাদ তথ্য দেখার সুযোগ মেলায় অনেকেই জনপ্রিয় ব্যক্তি, তারকা বা অন্যদের অ্যাকাউন্ট অনুসরণ করেন। কিন্তু অনুসরণ না করলেও যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের পোস্টগুলো ফেসবুক দেখতে বাধ্য করছে বলে অভিযোগ করেছেন বেশ কয়েকজন ব্যবহারকারী।
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেডিট-এ একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমি কখনো ট্রাম্প বা হোয়াইট হাউসের কোনো ফেসবুক পেজ ফলো করিনি। অথচ এখন আমার ফিড তাদের অফিশিয়াল পোস্টে ভরে গেছে।’ আরেকজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘হঠাৎ দেখি, আমি ডোনাল্ড ট্রাম্প আর তার স্ত্রীকে ফলো করছি। সবাই নিজেদের অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করুন, কারণ আরও অনেকেই এমনটা বলছেন। আমি কখনো তাদের পেজ খুঁজেও দেখিনি।’ আরেকজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ফেসবুক আমার প্রোফাইল থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রাম্পকে ফলো করিয়েছে। আনফলো করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি।’
প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেক ইস্যুজ টুডে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অনেক ব্যবহারকারী হয়তো পোটাস (যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট) অ্যাকাউন্টের কথা বলছেন। এটি ট্রাম্পের ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ নয়। পোটাস অ্যাকাউন্ট প্রেসিডেন্ট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট হয়। এর ফলে যাঁরা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পেজ ফলো করছিলেন, তারা এখন সেখানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম দেখতে পাচ্ছেন। একইভাবে ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডির প্রোফাইলও আপডেট হয়েছে।
টেক ইস্যুজ টুডের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সরাসরি ব্যবহারকারীদের ট্রাম্প, ভ্যান্স বা ফার্স্ট লেডির পেজ ফলো করানো হয়েছে, এমন প্রমাণ না থাকলেও কিছু ব্যবহারকারী যে আনফলো করতে পারছেন না, সেই অভিযোগগুলো উদ্বেগের। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি মেটা।