বাংলাদেশে সম্পূর্ণ (অ্যাবসোল্যুটলি) অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করতে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা মনে করি এমন নির্বাচন প্রতিটি গণতন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে গণতন্ত্রের উন্নতির জন্য তা অপরিহার্য।
ভারতের হিন্দুস্তান টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া। মঙ্গলবার তিনি ওই পত্রিকাকে একটি সাক্ষাৎকার দেন। এতে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, বাংলাদেশ সম্পর্কের কথা উঠে আসে। এতে তিনি বাংলাদেশ সম্পর্কে বলেন, ঢাকা সফরে আমরা সরকারের সঙ্গে অনেক ইস্যুতে আলোচনা করবো। এর মধ্যে আছে মানবিক সহযোগিতা এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া আশা করি। পাশাপাশি থাকবে বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি নিয়ে সম্পর্কের বিষয়, যা খুব জোরালো এবং বহু দশক ধরে উন্নয়ন অংশীদারিত্বের।
এছাড়া আছে বাংলাদেশের উচ্চাকাঙ্ক্ষা অর্জনে শ্রম অধিকার এবং সভাসমাবেশের স্বাধীনতার প্রতি সম্মানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার বিষয়।
হিন্দুস্তান টাইমস তার কাছে জানতে চায়- ইন্দো প্যাসিফিককে উন্মুক্ত ও খোলা রাখার প্রচেষ্টায় আপনি কি আমাদের আর একটু বলবেন এ বিষয়ে আপনার পরিকল্পনা কি? আপনার বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে এবং সে বিষয়ে কি কিছু আলোকপাত করতে পারেন?
এ প্রশ্নের জবাবে উজরা জেয়া বলেন, অবশ্যই। আমি মনে করি একটি অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিককে আরও সমৃদ্ধ, আরও নিরাপদ, আরও সংযুক্ত, অধিক অংশগ্রহণমূলক, অধিক স্থিতিশীল করতে কোয়াডের মতো নতুন নতুন গ্রুপের মধ্য দিয়ে আমাদের ভারতীয় বন্ধুদের সঙ্গে অভিন্ন পদ্ধতি এবং প্রতিশ্রুতি শেয়ার করি আমরা। আমাদের কূটনৈতিক আলোচনা নিয়ে খুব বেশি বিস্তারিত বলবো না। তবে অবশ্যই এটি আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটা আমাদের উভয় সরকারের জন্য শেয়ার করার বিষয়। দিল্লি সফরের পরই আমি ঢাকা সফরে যাচ্ছি। এ জন্য খুবই খুশি আমি। সেখানে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অনেকগুলো ইস্যুতে আলোচনা করবো।
তার কাছে আরেক প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়- বাংলাদেশে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যারাই বাধা দেবে তাদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসায় নিষেধাজ্ঞা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কি এখনও উদ্বেগ আছে?
উজরা জেয়া বলেন, আমি আপনাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের ঘোষণার কথা বলবো। তিনি নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছেন। এর উদ্দেশ্য একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন দেয়া। আমরা মনে করি এমন নির্বাচন প্রতিটি গণতন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ। গণতন্ত্রের উন্নতির জন্য তা অপরিহার্য।