সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসের ডোনারকাইন্ড ফাউন্ডেশন নামের একটি সংস্থা এ দাবি করেছে, ৪১ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ৫৫০ সন্তানের বাবা হয়েছেন। সংস্থাটি শুক্রাণু দানের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া শিশুদের উৎস খুঁজতে সহায়তা করে। এবার জোনাথন জ্যাকব মেইজার নামে ওই ব্যক্তির ওপর গতকাল শুক্রবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন দেশটির এক আদালত। খবর এনডিটিভির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জোনাথন জ্যাকব মেইজার এখন থেকে আর কাউকে শুক্রাণু দান করতে পারবেন না। তিনি যদি এটি করার চেষ্টা করেন তাহলে এক লাখ ইউরো জরিমানা হবে।
শুক্রবার এক রায়ে বিচারক হেসেলিংক বলেন, এসব বাবা-মা এখন এ সত্যের মুখোমুখি হয়েছেন যে তাদের পরিবারের সন্তানরা একটি বিশাল আত্মীয়তার নেটওয়ার্কের অংশ, যা তারা বেছে নেয়নি।
এর আগে জোনাথন জ্যাকব মেইজার বিরুদ্ধে সম্প্রতি মামলা দায়ের করা হয়। ইভা নামে এক নারী যিনি এই মামলা করতে সাহায্য করেছেন তিনি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, আমি যদি জানতাম জোনাথন ইতোমধ্যে শতাধিক সন্তানের বাবা হয়েছেন তাহলে আমি তাকে শুক্রানুর দাতা হিসেবে বেছে নিতাম না।
তিনি আরও বলেছেন, একই শুক্রানু দাতার বিষয়ে আলোচলায় অনেক মা-ই ইঙ্গিত দিয়েছেন জোনাথনের থামা উচিৎ, কিন্তু কোনো কিছুই সাহায্য করেনি। একমাত্র আদালতই আমার সন্তানের সুরক্ষা এনে দিতে পারে।
নেদারল্যান্ডসের দেন হাগ-ভিত্তিক সংস্থা ডোনারকাইন্ড শুক্রাণু দানের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া শিশুদের সুরক্ষা নিয়েও কাজ করে। তারাই জোনাথনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। নেদারল্যান্ডসের স্বাস্থ্য নির্দেশিকা অনুসারে একজন শুক্রাণুদাতা সর্বোচ্চ ২৫ জন সন্তানের বাবা হতে পারবেন
সংস্থাটি দাবি করেছে, জোনাথন শুক্রাণু দানের মাধ্যমে কতজনের বাবা হয়েছে- সেই সম্পর্কে মিথ্যা বলেছে।
ডাচ মিডিয়া অভিযুক্ত এ ব্যক্তিকে জোনাথন এম. হিসেবে সনাক্ত করেছে। তাকে ২০১৭ সালেই ডাচ সোসাইটি অব অবস্টেট্রিকস অ্যান্ড গাইনোকলজি (এনভিওজি) শুক্রাণু দেওয়ার তালিকা থেকে ছাটাই করে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, সেইসময় পর্যন্ত জোনাথন ১১টি হাসপাতালে মোট ১০২ সন্তানের বাবা হয়েছিলেন। তবে এরপরেও থামেনি জোনাথন। জোনাথন বলেন, একজন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে তিনি তার জেনেটিক অবদান সচল রাখার জন্য দেশ-বিদেশে শুক্রাণু দান করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেদারল্যান্ডসের স্বাস্থ্য নির্দেশিকা অনুসারে একজন শুক্রাণুদাতা সর্বোচ্চ ২৫ জন সন্তানের বাবা হতে পারেন। এ ছাড়া শুক্রাণু দাতাকে প্রতিবার শুক্রাণু দেওয়ার জন্য প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের পক্ষ থেকে ১০ থেকে ২০ ডলার দেওয়া হয়।