গবেষণা–সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজের জন্য ইরান নতুন একটি স্যাটেলাইট (কৃত্রিম উপগ্রহ) মহাকাশে পাঠিয়েছে। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের বিষয়টিকে তেহরান বেসামরিক হিসেবে ঘোষণা দিলেও পশ্চিমা অনেক রাষ্ট্র সতর্ক করে জানিয়েছে, এই প্রযুক্তি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য ব্যবহার করা হতে পারে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সেপাহ নিউজ জানিয়েছে, চামরান-১ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। ঘায়েম-১০০ ক্যারিয়ার ব্যবহার করে কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে। পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের সমালোচনা ও আপত্তি উপেক্ষা করে ইরান তার মহাকাশ কর্মসূচিকে এগিয়ে নিচ্ছে। চামরান-১ গবেষণা উপগ্রহের ওজন ৬০ কিলোগ্রাম। এই উপগ্রহটি কক্ষপথে হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সিস্টেম পরীক্ষা করবে। স্থাপনের পরে এরই মধ্যে পৃথিবীতে সংকেত পাঠাতে শুরু করেছে কৃত্রিম উপগ্রহটি।
এ বছরের জানুয়ারিতে প্রথমবারের জন্য ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০০ কিলোমিটার ওপরে কক্ষপথে স্যাটেলাইট পাঠানোর কথা জানায় ইরান। শান্তিপূর্ণ মহাকাশ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ইরান স্যাটেলাইটটি আকাশে পাঠিয়েছে।
ইরান এর আগে সোরাইয়া নামের একটি উপগ্রহ ৭৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় কক্ষপথে উৎক্ষেপণ করে। রাশিয়ার সহযোগিতায় রিমোট সেন্সিং ও ইমেজিং স্যাটেলাইট পাঠানো কারণে তখন যুক্তরাষ্ট্র সমালোচনা করেছিল। সব মিলিয়ে ইরান গত দুই বছরে ১২টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে বলে জানা গেছে। ২০১৮ সালের পরে তেহরান এক পারমাণবিক চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে মহাকাশ গবেষণায় মনোনিবেশ করে।