রাঙামাটিসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোটর সাইকেল চুরি করে দূর্গম এলাকাগুলোতে বিক্রির সাথে জড়িত সিন্ডিকেট চোর চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে রাঙামাটির কোতয়ালী থানা পুলিশ। এসময় গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তিতে চারটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এই চক্রের অন্যতম সদস্য চট্টগ্রামের রাউজানের বাসিন্দা ওমর ফারুককে স্থানীয় জনতার সহায়তায় আটকের পর তার স্বীকারোক্তিনুসারে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরো তিনজনকে গ্রেফতার।
রোববার বিকেলে কোতয়ালী থানা প্রাঙ্গনে রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, হাতিয়া, আমিরাবাদ, সিলেটসহ বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত চোররা হলেন রাঙামাটির রীতিময় চাকমা, চট্টগ্রামের রাউজানের মো. ওমর ফারুক ওরফে তারেক, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আমির হোসেন, হাতিয়ার মো. জুয়েল রানা ও চট্টগ্রামের মো. এরশাদ।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আলী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ পাচ্ছি, রাঙামাটিতে মোটরসাইকেল চুরি হচ্ছে। ইতিমধ্যে অভিযান চালিয়ে কয়েকটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানে চোরচক্রের সদস্যদেরও আটক করা হয়। এ ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এবার রাঙামাটি থেকে চোরাই হওয়া চারটি মোটরসাইকেলসহ পাঁচ চোরকে গ্রেফতার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, রাঙামাটিতে দিনে ও রাতে আলাদা মোটরসাইকেলের চোর রয়েছে। রাঙামাটির ছেলে রীতিময় চাকমা দুটি গ্রুপকে সহায়তা করে। গ্রুপগুলো শুক্রবার পাহাড়িকাসহ বিভিন্ন গাড়িতে রাঙামাটি আসে। পরে রীতিময়সহ সবাই বিভিন্ন এলাকা থেকে শনিবার মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যায়।
কোতয়ালী থানার দীর্ঘদিনের পেশাগত দক্ষতা ও জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেলের প্রযুক্তিগত সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে গত ০৪/০৩/২০২৪ খ্রিঃ এবং ৩০/০৩/২০২৪ খ্রিঃ থেকে ০৬/০৪/২০২৪ খ্রিঃ পর্যন্ত চট্টগ্রাম, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ০৪ টি মোটরসাইকেল চোরাই উদ্ধার ও মোটর সাইকেল চুরির ঘটনায় জড়িত সর্বমোট ০৮ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। এই চোরের পুরো চক্রকে ধরার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।