আগামী ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দীঘিনালা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে এক বিদ্রোহী প্রার্থী ও তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর জন্য কিছুটা ঝুঁকিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। তবে শতভাগ জয়ের আশাবাদী নৌকা প্রতীকে লড়াই করা এ প্রার্থীর। নির্বাচন অফিস বলছে ইভিএমের মাধ্যমে চলবে ভোটগ্রহণ। জনমতে উৎসবের আমেজ।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ১১ অক্টোবর দীঘিনালা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিদ্যুৎ বরণ চাকমাকে নৌকা, বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রজ্ঞান জ্যোতি চাকমাকে আনারস, স্বতন্ত্র প্রার্থী চন্দ্র রঞ্জন চাকমাকে চশমা, স্বতন্ত্র প্রার্থী জীব কান্তি চাকমাকে মোটরসাইকেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ধনিতা চাকমাকে টেবিল ফ্যান মার্কা প্রতীক বরাদ্দ দেয় উপজেলা নির্বাচন অফিস।
স্থানীয়রা বলছে, দীঘিনালা ইউনিয়ন পরিষদ পাহাড়ি অধ্যুষিত একটি ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ হাজার ৩০৪ জন৷ এরমধ্যে একজনও বাঙালী ভোটার নেই। এ ইউনিয়ন থেকে বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ ব্যাতীত কোন জাতীয় রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থীকে নির্বাচন করতে দেখা যায়নি৷ তবে আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর সমর্থন ও আশীর্বাদ নিয়ে অনেক প্রার্থীকেই নির্বাচন করতে দেখা গেছে। এবারের চিত্রটা পুরোই ভিন্ন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরকে কোন আঞ্চলিক সংগঠনই প্রত্যক্ষভাবে সমর্থন দেয়নি।
ভোটারদের মতে, নির্বাচন এলেই এক উৎসবের আমেজ বয়ে যায়৷ যারা সমাজের অগ্রগতি ও শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখতে কাজ করবে তাদেরকেই নির্বাচিত করবে৷
জানা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী ধনিতা চাকমা দীঘিনালা ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী। তিনি গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৮৫২ পেয়ে তৃতীয় হয়েছিলেন। ফের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়ায় নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন তিনি৷ অবশ্য তার দাবী দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। দল কোন সিদ্ধান্ত নিলে তার কিছু করার নেই।
স্থানীয়রা বলছে, দীঘিনালা ইউনিয়ন পরিষদ পাহাড়ি অধ্যুষিত একটি ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ হাজার ৩০৪ জন৷ এরমধ্যে একজনও বাঙালী ভোটার নেই। এ ইউনিয়ন থেকে বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ ব্যাতীত কোন জাতীয় রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থীকে নির্বাচন করতে দেখা যায়নি৷ তবে আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর সমর্থন ও আশীর্বাদ নিয়ে অনেক প্রার্থীকেই নির্বাচন করতে দেখা গেছে। এবারের চিত্রটা পুরোই ভিন্ন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরকে কোন আঞ্চলিক সংগঠনই প্রত্যক্ষভাবে সমর্থন দেয়নি।
ভোটারদের মতে, নির্বাচন এলেই এক উৎসবের আমেজ বয়ে যায়৷ যারা সমাজের অগ্রগতি ও শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখতে কাজ করবে তাদেরকেই নির্বাচিত করবে৷
জানা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী ধনিতা চাকমা দীঘিনালা ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী। তিনি গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৮৫২ পেয়ে তৃতীয় হয়েছিলেন। ফের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়ায় নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন তিনি৷ অবশ্য তার দাবী দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। দল কোন সিদ্ধান্ত নিলে তার কিছু করার নেই।
দীঘিনালা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী সীমা দেওয়ান এবং মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম লাকী জানান, বিদ্রোহী প্রার্থী ধনিতা চাকমাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে যথাসময়ে কারণ দর্শাতে না পারলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রজ্ঞান জ্যোতি চাকমা বিগত নির্বাচনে আনারস প্রতীকে ২ হাজার ৫৩৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। এবারও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের হারিয়ে ফের নির্বাচনে জেতার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। তার মতে, প্রত্যেক প্রার্থীরই ভিন্ন ভিন্ন যোগ্যতা রয়েছে। তবে বিগত সময়ে জনগণ তার সাথে ছিল, এবারও থাকবে।
এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী চন্দ্র রঞ্জন চাকমা অত্র ইউনিয়ন থেকে সাবেক দুইবারের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান। পাশাপাশি জীব কান্তি চাকমা একজন সমাজসেবক। তারা বলছেন, জনপ্রিয়তায় তারাও এগিয়ে আছেন। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী দুজনেই।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিদ্যুৎ বরন চাকমা বলেন, বর্তমান সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়ন বজায় রাখতে নৌকার বিকল্প নাই। আশাকরি এ ইউনিয়নের জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে। এছাড়া দীঘিনালা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এইপ্রথম ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হবে। ইভিএমের মাধ্যমে ভোট প্রয়োগ করতে সময় কম লাগে এবং ভোটাররা তাদের ভোটারাধিকার নিশ্চিতভাবে প্রয়োগ করতে পারে। এতে কোন কারচুপি হয় না। ভোটারদের ব্যপক প্রচার-প্রচারণা ও ভোট প্রয়োগের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাচন অফিসার শাহেনসা লতিফুল খায়ের বলেন, দীঘিনালায় প্রথমবারের মতো ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হতে যাচ্ছে। ইভিএমের মাধ্যমে ভোটপ্রয়োগ নিয়ে আমরা ভোটারদের তিনদিনের প্রশিক্ষণ দিবো। এ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্ণ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সকল প্রার্থীদের সরকারি বিধি মোতাবেক প্রচার প্রচারণা চালানোর নির্দেশনা প্রদান করছি।