নয় উপজেলা ও তিন পৌরসভা নিয়ে গঠিত ২৯৮ নং খাগড়াছড়ি আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা পেতে চান বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী প্রার্থী।
এর মধ্যে অন্যতম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, জাতীয় কমিটির সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রণ বিক্রম ত্রিপুরা, সহ সভাপতি সমির দত্ত চাকমা,সহ সভাপতি চাইথোঅং মারমা, সংরক্ষিত নারী সাংসদ বাসন্তী চাকমা এবং কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য ভবেশ্বর রোয়াজা নিকি সহ অনেকে।
জানা গেছে, মনোনয়ন নেওয়ার সম্ভবনা রয়েছে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক সচিব ও সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরারও। এ আসনে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে টানা দুইবার নির্বাচিত হয়েছেন কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
কিন্তু আসনটিতে দুইভাগে বিভক্ত আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ এবার অনেকটা প্রকাশ্যেই কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার বিরোধিতা করছেন। বর্তমান সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও মনোনয়নপ্রত্যাশী বীর মুক্তিযোদ্ধা রণ বিক্রম ত্রিপুরাকে নিয়ে বিভক্ত জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সমর্থকদের দাবী, এ আসনে পুনরায় তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হলে তৃতীয়বারের মতো তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন। সমর্থকদের মতে, তিনি সফলতার সাথে ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যানের (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) দ্বায়িত্বও পালন করছেন৷
অপরদিকে রণ বিক্রম ত্রিপুরার সমর্থকেরা এ আসনে পরিবর্তন চায়। তাদের দাবী,অবিভক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (১৯৬৭-১৯৭১), স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সদস্য (১৯৭১), অবিভক্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে মুজিব বাহিনীর ডিস্ট্রিক্ট কমান্ডার ও যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক (১৯৭২-১৯৭৫), বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি রণ বিক্রম ত্রিপুরাকে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা অবশ্যই মূল্যায়ন করবেন৷
এছাড়াও বাকী মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সমর্থকেরাও তাদের প্রার্থীর গুনগান গাইছেন। শেষ পর্যন্ত ২৯৮ নং খাগড়াছড়ি আসন থেকে নৌকা প্রতীক কে পাচ্ছেন, তা নিশ্চিত হতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েকদিন।
খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের একাধিক নেতা জানান, আওয়ামীলীগের জন্য এবারের নির্বাচন একটি চ্যালেঞ্জ। সুতরাং সকল বিভাজন ভুলে দলীয় সভানেত্রী যাকে নৌকা প্রতীক দেবেন, তার পক্ষে সবাই কাজ করবেন৷