বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় কমিটির সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রণ বিক্রম ত্রিপুরা বলেছেন, আমরা না জেনে যুদ্ধ করেছি, কিন্তু বিজয় এনে দিয়েছি। একাত্তরে ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মা-বোনকে হারিয়েছি। আসলে বাস্তবে দুই লাখের বেশি মা-বোন নির্যাতি হয়েছে। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা থেকেও অনেক মা-বোনকে নির্যাতিত হতে হয়েছে। বাস্তবে তা প্রকাশিত হয়নি বলে, তারা আজ বীরাঙ্গনায় ভূষিত হয়নি।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বুধবার (ডিসেম্বর ১৪) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলো সোনার মানুষ হতে, কিন্তু আমি এখনো সোনার মানুষ খুঁজে পাইনি। তাই সোনার মানুষ হতে হলে দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত করতে হবে। সকলকে দেশপ্রেমিক হতে হবে, দেশকে ভালোবাসতে হবে। যে যার অবস্থান থেকে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। তখনি আমরা সোনার মানুষ খুঁজে পাবো।
আলোচনা সভায় খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মোঃ সহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এইচ এম এরশাদ, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ছাবের, পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শানে আলম, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সাবেক কমান্ডার রইস উদ্দিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কিশোর কুমার মজুমদার, খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট'র উপ-পরিচালক জীতেন চাকমা, খাগড়াছড়ি সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক মোঃ ছালাম হোসেন, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি জীতেন বড়ুয়া প্রমুখ।
এসময় সদর উপজেলার ইউএনও জেসমিন আক্তার, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ন কবির, জেলা শিক্ষা অফিসার উত্তম খীসা, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সুদর্শন দত্ত, তথ্য অফিসার বাপ্পী চক্রবর্তী, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা উষানু চৌধুরী, সরকারি গণ-গ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান ওয়েন চাকমাসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।