পবিত্র ঈদুল আযহার পরপরই জ্বালানি আর বিদ্যুৎ ব্যবহার সাশ্রয়ী করতে অফিসের কর্মঘণ্টা কমানোর জন্য বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ হতে পারে।
অন্যদিকে অতিরিক্ত ভর্তুকি কমাতে, বাড়ানো হতে পারে জ্বালানির দামও। বিশ্বব্যাপী জ্বালানীর দাম যখন কোন সমীকরণই মানছে না, তখন দেশের সর্বচ্চো পর্যায় থেকে এমন আহ্বান। গতকাল ৭ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে, সারাদেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাস উৎপাদন পরিস্থিতি ও চাহিদার সঙ্গে সমন্বয়ে পর্যালোচনা সভা। যার সভাপতিত্ব করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ,জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ডঃ তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী। যেখানে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর নাগাদ,দেশের সব বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদনও-চাহিদা ও সঞ্চালন ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করছে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান। প্রায় ঘন্টা তিনেকের বৈঠক শেষে, উপদেষ্টার দাবি, এই মুহুর্তে বাংলাদেশের উৎপাদন সক্ষমতা ঠিক আছে। সংকট জ্বালানীর বাড়তি দাম আর বুধবার দেশব্যাপী লোডশেডিং ৫০০ মেগাওয়াট এর কাছাকাছি।
স্থানীয় পর্যায়ে গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে রয়েছে নজর। এদিকে যে তেল ৭০-৭১ ডলারে কেনা হত, তা এখন ১৭১ ডলারে কিনতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের সব দেশই এখন জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৬৪ শতাংশই গ্যাসনির্ভর জানিয়ে প্রতিমন্ত্রীর আভাস আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় রেখে দাম বৃদ্ধি করা হতে পারে।