থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ও ফানুস নিষিদ্ধ
সিএইচটি টিভি ডেস্ক
  • প্রকাশিত : 12-12-2024
ফাইল ছবি : সংগৃহীত

খ্রিষ্টীয় বর্ষবরণের রাতে (থার্টি ফার্স্ট নাইট) উন্মুক্ত স্থানে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো এবং ফানুস ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। এমনকি সেই রাতে পরিচয়পত্র ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এ ছাড়া খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বড়দিনকে ঘিরে (২৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় ডিএমপি নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদ্‌যাপন সামনে রেখে ঢাকার নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সভাপতিত্বে ডিএমপি সদর দপ্তরের সম্মেলনকক্ষে এই সমন্বয় সভা হয়।

 

সভাসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদ্‌যাপনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ডিএমপি নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বড়দিনে প্রতিটি গির্জায় আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে প্রবেশ করতে হবে। আগতরা সঙ্গে করে কোনো ব্যাগ আনতে পারবেন না। গির্জায় আসা ব্যক্তিদের মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালভাবে তল্লাশি করা হবে। গির্জা এলাকায় কোনো ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেওয়া হবে না বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।

 

সভায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন

সভায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেনছবি: ডিএমপির সৌজন্যে

ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত আলী বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উদ্‌যাপন উপলক্ষে নিয়মিত টহল ও তল্লাশিচৌকি বাড়ানোর পাশাপাশি পুলিশি তৎপরতাও বাড়ানো হবে। উন্মুক্ত বা খোলা কোনো স্থানে আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে পরিচয়পত্র ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। গুলশান, হাতিরঝিল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ সমন্বিত ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া উৎসব দুটি উপলক্ষে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি গুজব ও অপপ্রচার প্রতিরোধে সাইবার প্যাট্রোলিং জোরদারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো মনিটরিং করা হবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. ইসরাইল হাওলাদার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিমসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন