আগামী ১৫ ডিসেম্বর, রোববার রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার প্রধান নভোচারী জোসেফ এম আকাবা। ‘ফ্রম আর্থ টু অরবিট: অ্যান অ্যাস্ট্রোনটস টেল’ শিরোনামের এ বক্তৃতায় তিনি শোনাবেন নিজের মহাকাশ অভিযানের অভিজ্ঞতার কথা। তবে এ বক্তৃতা শুধু ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার প্রধান নভোচারী জোসেফ এম আকাবা। চলতি সপ্তাহে তিনি ঢাকা আসছেন। দেশের তরুণ প্রজন্ম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন নাসার এই নভোচারী। এটি নাসার প্রধান নভোচারীর প্রথম বাংলাদেশ সফর। এই সফরের অংশ হিসেবেই আয়োজিত হবে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর বক্তৃতা।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার প্রধান নভোচারী জোসেফ এম আকাবা। চলতি সপ্তাহে তিনি ঢাকা আসছেন। দেশের তরুণ প্রজন্ম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন নাসার এই নভোচারী
মার্কিন দূতাবাসের একটি সূত্র জানিয়েছে, আকাবার এ সফরের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে তিনি মহাকাশবিজ্ঞান, রোবোটিকস ও স্টেম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, গণিত) শিক্ষায় ক্যারিয়ার গড়তে অনুপ্রাণিত করবেন শিক্ষার্থীদের। তবে এই সূত্র তাঁর সফরের নির্দিষ্ট তারিখ জানায়নি।
জানা গেছে, আকাবা মহাকাশ অনুসন্ধানের মাধ্যমে প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় এর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করবেন। প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম ছাড়াও তিনি একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে অংশ নেবেন। সেখানে তিনি বৈশ্বিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নাসার অবদান এবং মহাকাশ গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ কীভাবে লাভবান হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করবেন। বিশেষ করে আর্টেমিস অ্যাকর্ডসের মাধ্যমে সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরবেন। মহাকাশে নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য কিছু নীতিমালা প্রণয়ন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইতালি, লুক্সেমবার্গ, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্যসহ কিছু দেশ। ২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর এটি প্রণীত হয়। বর্তমানে এ নীতিমালায় মোট ৫০টি রাষ্ট্র স্বাক্ষর করেছে। এটিই আর্টেমিস অ্যাকর্ডস। এ নীতিমালা নাসা ও বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান মহাকাশ ও প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা আরও জোরদারে সাহায্য করতে পারে।
২০০৮ সালে তোলা আকাবার ছবিছবি: নাসা
আকাবা যুক্তরাষ্ট্রের একজন শিক্ষক, হাইড্রোজিওলজিস্ট ও পিস কর্পসের সাবেক স্বেচ্ছাসেবক। ২০০৪ সালের মে মাসে নাসার নভোচারী প্রার্থী হিসেবে মনোনীত প্রথম পুয়ের্তোরিকান বংশোদ্ভূত ব্যক্তি তিনি। ২০২৩ সালে আকাবাকে নাসার নভোচারী কার্যালয়ের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।