বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে বাদ পড়া ও নতুন ভোটারযোগ্য ব্যক্তি মিলিয়ে ৪৯ লাখ ৭০ হাজার ৩৮৮ জনের তথ্য সংগ্রহ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নিবন্ধনপ্রক্রিয়া শেষে তাঁরা ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত হবেন। অন্যদিকে হালনাগাদ কার্যক্রমে ১৫ লাখ ২৩ হাজার মৃত ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ভোটার তালিকা থেকে তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
গত ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছিল নির্বাচন কমিশন। গতকাল সোমবার তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার হালনাগাদ কার্যক্রমের সংগৃহীত প্রাথমিক তথ্য নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন সচিব। তিনি জানান, এই সংখ্যা চূড়ান্ত নয়। এটি আরও বাড়তে পারে।
নির্বাচন কমিশন সচিব বলেন, চলতি বছর তাদের লক্ষ্য ছিল ৬১ লাখ নতুন ভোটার নিবন্ধন করা। এবার ভোটার বৃদ্ধির হার ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। এর মধ্যে বাদ পড়া ভোটার বৃদ্ধির হার ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ আর নতুন ভোটারযোগ্য হয়েছেন, এমন নিবন্ধনের হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
মৃত ভোটারদের নাম কর্তনের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, সর্বশেষ তিন বছর আগে যখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য হালনাগাদ করা হয়েছিল, তার চেয়ে এবার মৃত ভোটারের সংখ্যা কম। এটি কেন কম, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। মাঠপর্যায়ে যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পর এ বিষয়ে একটি স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যেতে পারে।
আখতার আহমেদ বলেন, আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত ভোটার নিবন্ধনের কাজ চলবে। ভোটার হওয়ার যোগ্য যাঁদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়নি বা এখনো বাদ পড়ে আছেন, তাঁরা এ সময়ের মধ্যে নিবন্ধিত হতে পারবেন। এর বাইরেও যেকোনো সময় ভোটার হওয়ার যোগ্য যেকোনো ব্যক্তির অনলাইনে আবেদন করে ভোটার হওয়ার সুযোগ রয়েছে।