ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ) বইয়ের একটি পৃষ্ঠায় ছাপা হয়েছে ‘৫৫০০ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস’। প্রকৃতপক্ষে এটি হবে ‘৫৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস’। অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের একটি পৃষ্ঠায় এক জায়গায় আছে ১৯৮৩। আসলে হবে ১৯৮২। নবম শ্রেণির বাংলা বইয়ের এক জায়গায় বলা হয়েছে, ‘নিচের “জীবন বিনিময়” কবিতাটি কবির “বুলবুলিস্তান” কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।’ লাইনটি আসলে বাদ যাবে।
চলতি শিক্ষাবর্ষে বিনা মূল্যে বিতরণ করা ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত বিভিন্ন বইয়ের ১৩০টির বেশি ভুলভ্রান্তির তথ্য পেয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এ জন্য এই ভুলগুলো সংশোধন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ভুলের সংশোধনীগুলো মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠাবে।
পরে আজ বুধবারই মাউশির ওয়েবসাইটে সংশোধনীগুলো দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সব প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষের কাছেও তা পাঠানো হয়েছে। সংশোধনীগুলো সব শিক্ষককে অবহিত করা এবং তাঁদের মাধ্যমে সব শিক্ষার্থীর নিজ নিজ পাঠ্যপুস্তকে সংশোধনীগুলো সংযোজন নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছ মাউশি
যেসব সংশোধনী দেওয়া হয়েছে, তাতে দেখা যায় কিছু ভুল তথ্যগত। আবার অনেক ভুল বানান–সংক্রান্ত বা অন্য ছোটখাটো বিষয়ে। যেমন অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ) বইয়ের একটি পৃষ্ঠায় আছে ‘হাইড্রোজেন ও পানির বিক্রিয়ায় পানি উৎপন্ন হয়’। সংশোধন করে এটি করা হয়েছে ‘হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের বিক্রিয়ায় পানি উৎপন্ন হয়।’ এমন তথ্যগত ভুল যেমন আছে, তেমনি নবম শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা বইয়ের একটা পৃষ্ঠায় ভুল করে ‘শুদ্ধচার’ ছাপা হয়েছে। এটি সংশোধন করে করা হয়েছে ‘শুদ্ধাচার’। পৃষ্ঠা, লাইন, ভুলগুলো উল্লেখ করে আরেক পাশে সংশোধনীগুলো দেওয়া হয়েছে।
এ বছর ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে নতুন বই হাতে পেয়েছে। এই বইগুলো নতুন করে লেখা হয়েছে। এনসিটিবি গত জানুয়ারিতে জানিয়েছিল, পাঠ্যপুস্তক মূল্যায়ন করে সংশোধনীগুলো দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠানো হবে। তখন এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রণীত ২০২৪ সালের বইয়ের বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা ও গভীর পর্যবেক্ষণে যেসব বিষয় উঠে এসেছে, তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছে। বিদ্যমান পাঠ্যপুস্তক যৌক্তিকভাবে মূল্যায়ন করে সংশোধনীগুলো অতিদ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমে পাঠানো হবে।