আজ ১৬ মে (সোমবার) থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের জন্য হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয়েছে। এই নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে বুধবার পর্যন্ত।
এদিকে, চলতি বছর হজ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এ পর্যন্ত তিন ধাপে ৭৮০টি হজ এজেন্সিকে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সর্বশেষ গতকাল ১৫ মে (রবিবার) তৃতীয় ধাপে ৮০টি হজ এজেন্সিকে হজ কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দিয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে।
এর আগে ৮ মে প্রথম ৬১০টি হজ এজেন্সিকে চলতি বছর হজ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। ৯ মে দ্বিতীয় পর্যায়ে অনুমোদন পায় ৯০টি হজ এজেন্সি। হজ এজেন্সি অনুমোদনের আদেশে বলা হয়েছে, প্রত্যেক হজযাত্রীর সঙ্গে হজ অনুমোদন পাওয়া এজেন্সিগুলোর লিখিত চুক্তি করতে হবে।
এক এজেন্সি চলতি বছর সর্বোচ্চ ৩০০ জন এবং সর্বনিম্ন ১০০ জন হজযাত্রী পাঠাতে পারবে। প্রত্যেক হজ এজেন্সিকে মিনা, আরাফাহ ও মুজদালিফায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক হজকর্মী নিয়োগ করতে হবে। যেসব এজেন্সির লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে ও এ পর্যন্ত হালনাগাদ কাগজপত্রাদি মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়নি, বিভিন্ন অভিযোগে শাস্তি বা জরিমানাপ্রাপ্ত, সৌদি আরবে কালো তালিকাভুক্ত এবং অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে সেই সব এজেন্সি হজ পরিচালনার দায়িত্ব পায়নি।
তালিকা প্রকাশের পর কোনও হজ এজেন্সির তথ্য ভুল বা অসত্য প্রমাণিত হলে এবং কোনও অভিযোগ পাওয়া গেলে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কোনও কারণ দর্শানো ছাড়া সংশ্লিষ্ট এজেন্সির নাম তালিকা থেকে বাতিলের অধিকার সংরক্ষণ করে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, অনিবন্ধিত কোনও ব্যক্তিকে হজযাত্রী হিসেবে হজে নেওয়া যাবে না। কোনও এজেন্সি এ ধরনের উদ্যোগ নিলে কারণ দর্শানো ছাড়া ওই এজেন্সির লাইসেন্স বাতিলসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন।