রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে ঈদযাত্রার অগ্রীম টিকিট ক্রেতার চাপ কমাতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এবার ঈদের অগ্রিম টিকিট রাজধানীর মোট পাঁচটি স্টেশনে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে অঞ্চলভেদে এসব স্টেশন থেকে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন যাত্রীরা।
অঞ্চলভেদে স্টেশনগুলো হচ্ছে- রাজধানীর কমলাপুর স্টেশন থেকে সমগ্র পশ্চিমাঞ্চলগামী ও খুলনাগামী স্পেশাল ট্রেনের টিকিট; বিমানবন্দর স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সকল আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট; তেজগাঁও স্টেশন থেকে ময়মনসিংহ, জামালপুরগামী ও দেওয়ানগঞ্জ স্পেশালসহ সকল আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট; ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে মোহনগঞ্জগামী মোহনগঞ্জ ও হাওড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট এবং ফুলবাড়িয়া স্টেশন (পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন) থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সকল আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে।
ইন্টারনেট ও অ্যাপের মাধ্যমে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে সকাল ৮টা থেকে। কাউন্টারে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টিকিট বিক্রি চলবে।
ঈদের অগ্রিম টিকিট ফেরত নেওয়া হবে না। স্পেশাল ট্রেনের কোন টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে না, সেগুলো শুধুমাত্র স্টেশন কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হবে।
এবার ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ৩ মে ধরে এই অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। ২৭ এপ্রিলের টিকিট দেওয়া হবে ২৩ এপ্রিল। এভাবে ২৮ এপ্রিলের টিকিট ২৪ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিলের টিকিট ২৫ এপ্রিল, ৩০ এপ্রিলের টিকিট ২৬ এপ্রিল এবং ১ মের টিকিট ২৭ এপ্রিল বিক্রি করা হবে। যাত্রীদের এনআইডি/জন্ম সনদ ফটোকপি কাউন্টারে প্রদর্শনপূর্বক টিকিট ক্রয় করতে হবে। এসব ব্যতীত অন্য কোন পরিচয়পত্র দিয়ে ট্রেনের টিকিট কাটা যাবে না।
ঈদ যাত্রার বিশেষ ট্রেনগুলোর মধ্যে চাঁদপুর স্পেশাল ১ ও ২ ট্রেন চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে ঈদের আগে ২৯ এপ্রিল থেকে ১ মে এবং ঈদের পর ৪-৮ মে পর্যন্ত চলবে। আর দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল ট্রেন ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে ২৯ এপ্রিল থেকে ১ মে এবং ঈদের পর ৪-৮ মে পর্যন্ত চলবে। খুলনা স্পেশাল (মৈত্রী রেক দিয়ে) খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে ২৯ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত চলবে। শোলাকিয়া স্পেশাল-১ ট্রেন ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে এবং শোলাকিয়া স্পেশাল-২ ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে শুধুমাত্র ঈদের দিন চলবে।
এদিকে, ঈদের ৭ দিন আগে অর্থাৎ আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত কোন আন্তঃনগর ট্রেনের অফ-ডে থাকবে না এবং ঈদের পরে যথারীতি অফ-ডে কার্যকর করা হবে। অফ-ডে প্রত্যাহারের ফলে অতিরিক্ত ৯২টি আন্তঃনগর ট্রেন বিশেষ ট্রিপ হিসেবে পরিচালিত হবে। তবে ঈদুল ফিতরের দিন কোন আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না।
ঈদের পর ফিরতি যাত্রা শুরু হবে ৫ মে। সেদিনের ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি হবে ১ মে।