পর্যটন নগরী কক্সবাজারের উন্নয়নে একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, কক্সবাজার এত চমৎকার একটা জায়গা-এটা পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা একান্তভাবে অপরিহার্য। কক্সবাজার এলাকাবাসীর কাছে আমার একটা অনুরোধ থাকবে, যেখাানে সেখানে কোন স্থাপনা করবেন না।
আজ ১৮ মে (বুধবার) কক্সবাজারের বীর মুক্তিযোদ্ধা মাঠে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবনির্মিত বহুতল ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
কক্সবাজারের উন্নয়ন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা অনেকগুলো প্রকল্প হাতে নিয়েছি। পুরো কক্সবাজার ঘিরে একটা মাস্টার প্ল্যান করার নির্দেশও দিয়েছি। আমরা চাই, এর উন্নয়নটা যাতে পরিকল্পিতভাবে হয়।
সমুদ্র সীমা নিয়ে ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর তিনিই প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেন বলে জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি আারও বলেন, আমাদের এই যে বিশাল সমুদ্রসীমা রয়েছে, এটাতে পর্যটনের ক্ষেত্রটা আরও প্রসারিত করা, আবার দেশীয় পর্যটকদের জন্য যেমন সুযোগ সৃষ্টি করা, পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্যও আকর্ষণীয় করা, সেই উদ্যোগটাই আমরা নিতে চাচ্ছি।’
কক্সবাজার বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক করার কাজ চলমান রয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই বিমানবন্দরটা যখন হবে তখন আপনারা জানেন যে, আজকে যারা পশ্চিমা দেশ থেকে প্রাচ্যের দেশে যায়, তারা কিন্তু এই কক্সবাজার থেকে রিফুয়েলিং করবে। কারণ রিফুয়েলিং কিন্তু একেক সময় একেকটা দেশ অগ্রাধিকার পায়। এক সময় হংকং ছিল। এরপরে আমরা দেখেছি থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর। এখন দুবাই। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কক্সবাজারই হবে আন্তর্জাতিক আকাশ পথে রিফুয়েলিংয়ের একটা জায়গা।’
তিনি আরও বলেন, আমরা ক্রিকেট স্টেডিয়াম করেছি। সেখানে ফুটবল স্টেডিয়াম হবে। সেখানে অন্যান্য খেলাধুলার পুরো ব্যবস্থাটা নেওয়া হবে। যেকোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট এখানে যাতে হতে পারে সে ব্যবস্থাটা আমরা নিচ্ছি।
কক্সবাজার প্রান্তে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার।