আওয়ামী লীগ ঘোষণা দিয়ে আজ রোববার সারা দেশে পরিকল্পিতভাবে সশস্ত্র নেতা-কর্মীদের জড়ো করে ছাত্র-জনতার ওপর লেলিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাতে বিবৃতিতে এ কথাগুলো বলেন তিনি।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে ঢাকাসহ সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা’ গুলি করে শতাধিক ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও সহস্রাধিক মানুষ।
বিএনপির নেতা ফখরুল ইসলাম বলেন, ঢাকার ধানমন্ডি, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, মিরপুর, উত্তরা, তোপখানা রোডসহ বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আজ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গুলি চালায়। সারা দেশেই হত্যা, নির্যাতন ও বলপ্রয়োগ করে আন্দোলন দমানোর ব্যর্থ চেষ্টা চালানো হয়। দুপুর থেকে মুঠোফোন ইন্টারনেট, ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর আন্দোলন দমন ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে সন্ধ্যা থেকে আবারও সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য সান্ধ্য আইন জারি করা হয়।
মির্জা ফখরুল নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি শোক জানিয়ে বলেন, তাঁদের আত্মত্যাগ বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। চলমান আন্দোলনে ছাত্র-জনতার হত্যাকারীদের বিচার অবশ্যই বাংলাদেশের মাটিতে হবে।