বিচারপ্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কী ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের কাছে জানতে চেয়েছেন জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা। অন্যদিকে ট্রাইব্যুনালের বিচারপ্রক্রিয়ার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখতে জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়।
আজ রোববার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় পরিদর্শনে আসেন ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস ও ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান। তাঁরা চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের সঙ্গে আলোচনা করেন। পরে আলোচনার বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের জানান চিফ প্রসিকিউটর।
তাজুল ইসলাম বলেন, খুবই আন্তরিকতাপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। এ সময় জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা জানতে চেয়েছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার ও তদন্তপ্রক্রিয়া কেমন এগোচ্ছে, কী পর্যায়ে আছে, কোনো সমস্যা আছে কি না। তাঁদের পক্ষ থেকে সাহায্য–সহযোগিতা দরকার আছে কি না। এই বিচারপ্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করার ব্যাপারে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, কী কী কাজ করা হচ্ছে, সে ব্যাপারে জাতিসংঘের সহযোগিতা দরকার আছে কি না, এসব বিষয় নিয়ে তাঁরা খোলামেলা আলোচনা করেছেন।
জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের কাছে প্রসিকিউশন এবং তদন্ত সংস্থাকে প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় অনুরোধ জানিয়েছে বলে জানান তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এই বিচারপ্রক্রিয়ার প্রতি জাতিসংঘের সমর্থন ব্যক্ত করার জন্য..., অব্যাহত সমর্থন যাতে তাঁরা দেন, সে ব্যাপারে আমরা তাঁদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যা এবং বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলে সংঘটিত গুম, খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করা হচ্ছে।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়ে কোনো জবাব এখনো ভারত দেয়নি। না দিলেও আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। বিচারপ্রক্রিয়া তার নিজস্ব প্রক্রিয়া অনুসরণ করে চলবে।