দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে বাদ বাতিল হওয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল আবেদন শুরু করেছেন। আজ মঙ্গলবার ৪২ জন প্রার্থী আপিল আবেদন জমা দিয়েছেন।
আজ সকাল থেকে রাজধানীর আগারগাঁও অবস্থিত নির্বাচন কমিশনের ভবনের সামনে ১০টি অস্থায়ী ক্যাম্পে এ আপিল আবেদন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যা চলবে আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিল শুনানির মাধ্যমে রায় ঘোষণা করা হবে। ১১টি অঞ্চলকে ভাগ করে ১১টি বুথ নির্ধারণ করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ১ নম্বর বুথে (রংপুর অঞ্চল) ২ জন, ৩ নম্বর বুথে (খুলনা অঞ্চল) ৮ জন, ৪ নম্বর বুথে (বরিশাল অঞ্চল) ২ জন, ৫ নম্বর বুথে (ময়মনসিংহ অঞ্চল) ৯ জন, ৬ নম্বর (ঢাকা অঞ্চল) ৬ জন, ৭ নম্বর বুথে (ফরিদপুর অঞ্চল) ৫ জন, ৮ নম্বর (সিলেট অঞ্চল) ১ জন, ৯ নম্বর বুথে (কুমিল্লা অঞ্চল) ৩ জন এবং ১০ নম্বর বুথে (চট্টগ্রাম অঞ্চল) ৬ জন আপিলপত্র জমা দিয়েছেন। তবে ২ নম্বর বুথে (রাজশাহী অঞ্চল) কেউ আপিল আবেদন জমা দেননি।
এর আগে, সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আপিল দায়ের, শুনানি ও নিষ্পত্তি সংক্রান্ত নোটিশ জারি করে ইসি। ইসি জানায়, মনোনয়নপত্র বাতিল ও গ্রহণাদেশের বিরুদ্ধে কোনো প্রার্থী বা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান রিটার্নিং অফিসারের আদেশে সংক্ষুব্ধ হলে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পরবর্তী পাঁচ দিনের মধ্যেই আপিল করতে হবে। অর্থাৎ ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি আকারে আপিল দায়ের করতে পারবেন। সঙ্গে আপিলের মূল কাগজপত্র এক সেট ও ছায়ালিপি ছয় সেট জমা দিতে হবে।
ইসি ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তে বাতিল হওয়া প্রার্থিতা কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি।