বিদেশি হস্তক্ষেপে নির্বাচন হবে না: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
সিএইচটি টিভি ডেস্ক
  • প্রকাশিত : 27-05-2023
ফাইল ছবি : সংগৃহীত

সংবিধান অনুযায়ী দেশে নির্বাচন হবে, এক্ষেত্রে বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এ অবস্থায় বিরোধী পক্ষকে সঠিক গলির বাইরে হেঁটে অন্ধকারে না হারানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

 

শনিবার (২৭মে) দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ এনিমেল হাজবেন্ড্রি অ্যাসোসিয়েশনের ১১তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

সংবিধানের চেয়ে বড় আইন দেশে নেই উল্লেখ করে রেজাউল করিম বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য আমাদের দেশে সর্বোচ্চ আইন হলো সংবিধান। এখানেই লেখা আছে নির্বাচন কীভাবে হবে। আমরা অনেকেই ভুল করে বলি আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হবে। বিষয়টি ঠিক নয়। বরং ভোট হবে নির্বাচন কমিশনের অধীন। আর কমিশনকে সহযোগিতা করবে সরকার। এভাবেই সাংবিধানিক উপায়ে নির্বাচন হবে। এছাড়া অন্য কোনো উপায়ে নির্বাচনের  সুযোগ নেই।'

 

মন্ত্রী আরও বলেন, অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় আসা সম্ভব নয়। যারা সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় আসবেন ভাবছেন, তাদের বলছি এটা সম্ভব না। বাংলাদেশের সংবিধানের পরিপন্থী কোনো প্রক্রিয়ায় নির্বাচনে যাওয়ার সুযোগ নাই। কেননা সংবিধানের ৭ (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তা রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধের শামিল।

 

তিনি বলেন, সংবিধানের ৭ (ক) অনুচ্ছেদে তিনটি অংশ আছে। প্রথমত, অসাংবিধানিক উপায়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করার চেষ্টা করা, পরিকল্পনা করা, ষড়যন্ত্র করাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতা হিসেবে গণ্য করা হবে। দ্বিতীয়ত, অসাংবিধানিক উপায়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টাকে সমর্থন করা, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তা রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ হবে। তৃতীয়ত, অসাংবিধানিক পন্থায় মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা, সংবিধানের কোনো ধারাকে ভুল ও অস্বীকার করে উপস্থাপন করে মানুষের আস্থা নষ্ট ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হলে তাও রাষ্ট্রদ্রোহিতা হিসেবে বিবেচিত হবে। সুতরাং যারা অসাংবিধানিক উপায়ে নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসতে চান তাদের আচরণ রাষ্ট্রদ্রোহিতা বলে গণ্য হবে।

 

সংগঠনটির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মো. রেয়াজুল হক, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিমেল হাজবেন্ড্রি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ছাজেদা আখতার।

 

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির মহাসচিব ড. অসীম কুমার দাস, আরভিঅ্যান্ডএফসি পরিদফতরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আব্দুল বাকী, এসিআই অ্যাগ্রিবিজনেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এফ. এইচ. আনসারি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন প্রমুখ।

শেয়ার করুন