বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে চার টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে দুই টাকা কমানো হয়েছে। এ ছাড়া সুপার পাম তেলের দামও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম এ কথা জানিয়েছেন। এ সময় বাংলাদেশ ভেজিটেবল ওয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, দাম বাড়ার নতুন এ সিদ্ধান্ত মিল গেট (পাইকারি বিক্রেতারা যে দামে কিনবেন) থেকে এখন থেকে কার্যকর হবে। তবে বাজারে মজুত করা আগের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য সমন্বিত ভোজ্যতেল আগের দামেই বিক্রি হবে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রতি লিটার বোতলজাত তেলের দাম ১৬৩ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়াল সর্বোচ্চ ১৬৭ টাকা। আর ৫ লিটার বোতলজাত তেলের দাম ৮০০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়াল ৮১৮ টাকা। আর প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৪৯ টাকা থেকে কমে দাঁড়াল ১৪৭ টাকা।
এ ছাড়া সুপার পাম তেল প্রতি লিটারের (খোলা) দাম সর্বোচ্চ ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। পাম তেলের দাম আগে নির্ধারণ করা ছিল না বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
ভোজ্যতেলের ওপর থেকে মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) প্রত্যাহারের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে বলে ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম। মিল গেট থেকে কর দিয়ে এখন পণ্য সরবরাহ করতে হবে। তাই সময় দেওয়ারও সুযোগ নেই।
ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিত সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
এর আগে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর সুপারিশের কথা জানিয়েছিলেন দেন মিলমালিকেরা। গত মঙ্গলবার থেকে প্রস্তাবিত নতুন এই দাম কার্যকরের ঘোষণা দিয়ে বাণিজ্যসচিব বরাবর চিঠি দেয় কোম্পানিগুলো সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল ওয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। তবে সেদিন ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে সয়াবিনের মূল্যবৃদ্ধির ‘সুযোগ নেই’ বলে জানিয়েছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম।
রোজার আগে গত ১ মার্চ থেকে বোতলজাত ১ লিটার সয়াবিনের দাম ১০ টাকা কমিয়ে ১৬৩ টাকা করা হয়েছিল। তখন ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮০০ টাকা।