ব্রয়লার মুরগিতে ক্ষতিকর কিছু নেই বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ব্রয়লার মুরগির মাংস খাওয়া নিরাপদ কিনা, এ নিয়ে আমাদের অনেকের মধ্যেই ভ্রান্ত ধারণা বা দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক প্রচারণায় দেখা যায় যে, ব্রয়লার মাংসে এন্টিবায়োটিক, হেভি মেটাল এবং অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থের উপস্থিতি রয়েছে যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের ফলে সাধারণ জনগণের মাঝে অনেক সময় ব্রয়লার মাংস সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্রয়লার মাংস খাওয়া কমিয়ে দেয়। ফলে ব্রয়লার শিল্পের ওপর একটি বড় ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি তার নজির আমরা প্রত্যক্ষ করেছি- ২০২০ সালে শুরু হওয়া কোভিড- ১৯ প্রাদুর্ভাবের প্রথম দিকে। সেই সময় পুষ্টিসমৃদ্ধ ব্রয়লার মাংস খাওয়া অনেক কমে যায়।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ব্রয়লার মুরগির মাংস বাংলাদেশে সবচেয়ে সস্তা ও সহজলভ্য আমিষের উৎস। মুরগির মাংসের মধ্যে রয়েছে অ্যামাইনো এসিড, ভিটামিন-মিনারেল, যা শরীর গঠন, মেধা বৃদ্ধি ও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। অন্যদিকে দেশের অধিকাংশ মানুষের আয় কম, যা দিয়ে তারা প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার বিশেষ করে আমিষসমৃদ্ধ খাবার কিনে খেতে পারে না। তুলনামূলকভাবে সারা পৃথিবীতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদিত উন্নতজাতের মুরগির মাংস আমিষ সমৃদ্ধ ও সস্তা। কাজেই, শ্রমজীবী, সীমিত আয়ের বা কম আয়ের মানুষের জন্য পুষ্টি ও আমিষের নিশ্চয়তা দিতে পারে ব্রয়লার মুরগির মাংস। কিন্তু আমাদের দেশে মাথাপিছু মুরগির মাংস খাওয়ার পরিমাণ অন্যান্য দেশের তুলনায় খুবই কম।
সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন।
সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, পোল্ট্রি শিল্পে এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন এসেছে। আগে মানুষ পারিবারিকভাবে ছোট পরিসরে মুরগি পালন করত। কিন্তু এখন বাণিজ্যিক পর্যায়ে খামার হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই পোল্ট্রি থেকে আমরা ডিম পাই। অনেক উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। কিন্তু অনেক সময় ভুলভ্রান্তি তৈরি হয়। তা দূর করতে আমরা একটি গবেষণা করেছি।
তিনি আরও বলেন, মানুষের শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য যে আমিষের প্রয়োজন তার চাহিদা মেটায় এই পোল্ট্রি সেক্টর।