উপজেলা নির্বাচনে ভোটের হার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের মধ্যে হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, নির্বাচনে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। এমন ৩৪টি ঘটনায় ৩৭ জনকে আটক করা হয়েছে। দুটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সিইসি। আজ দেশের ১৩৯টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হয়। সকাল আটটায় শুরু হয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত এই ভোট গ্রহণ চলে।
এর আগে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল যে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রথম ৪ ঘণ্টায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ভোট পড়ে থাকতে পারে। আর প্রথম দুই ঘণ্টার হিসাব জানিয়ে বলা হয়েছিল যে ৭ থেকে ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।
বিকেলে ভোট শেষে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, ভোটের হার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের মাঝামাঝি হতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমরা এ পর্যন্ত যে তথ্য পেয়েছি, নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। কিছু কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে , যেখানে কিছু সংঘর্ষ, কিছু আহতের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকটি কেন্দ্রে সীমিত পর্যায়ে কিছু অনিয়ম হয়েছে। যে কারণে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি আর দুটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে।’
সিইসি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। সে কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালোই ছিল। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। সীমিত পর্যায়ে ঘটেছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষের তথ্যমতে ৩৪টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় আটক হয়েছেন ৩৭ জন। এসব সংঘর্ষ হয়েছে ভোটকেন্দ্রের বাইরে। ভেতরে কোনো সংঘর্ষ হয়নি। কেন্দ্রের বাইরে প্রার্থীদের কর্মী–সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় কেউ কেউ আহত হয়েছেন।’
সিইসি জানান, ১০ হাজার ৩৯৯টি কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার মধ্যে দুটি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ করা হয়েছে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোটার কম হওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমরা জানার চেষ্টা করেছি, আমাদের বলা হয়েছে অনেকেই ধান কাটতে থাকায় ওরা ভোট দিতে আসেনি। সকালে বেশ কিছু জায়গায় ঝড়–বৃষ্টি হয়েছে, এটা একটা কারণ হতে পারে।’
সিইসি আরও বলেন, ‘আমার বিষয় হচ্ছে, ভোটাররা আসছেন কি না, ভোট দিতে পেরেছেন কি না, কোথায় কী অনিয়ম হলো, গণনার পর কোনো বিশৃঙ্খলা হয় কি না—এসব দেখা।’
তবে ভোটের হার নিয়ে সন্তুষ্ট কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের কোনো মন্তব্য করতে চাননি সিইসি।