সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের প্রেসিডেন্ট রিসোর্টের কর ফাঁকির তদন্ত শুরু
সিএইচটি টিভি ডেস্ক
  • প্রকাশিত : 09-12-2024
ফাইল ছবি : সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকায় অবস্থিত প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট অ্যান্ড অ্যাগ্রো লিমিটেড এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের কর ফাঁকি খতিয়ে দেখছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের (সিআইসি) কর্মকর্তারা। এ জন্য সিআইসিতে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। তাদের কর নথিতে এ–সংক্রান্ত বিনিয়োগ কতটা দেখানো হয়েছে এবং কত কর দেওয়া হয়েছে, তা–ও খতিয়ে দেখছে এই দল।

সিআইসির পরিচালক চাঁদ সুলতানা চৌধুরানীর নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত দল আজ সোমবার কিশোরগঞ্জের প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। সেখানে গিয়ে রিসোর্টের জমির পরিমাণ, ভবনসহ অন্যান্য অবকাঠামো বাজারমূল্য পর্যালোচনা করেছেন। এ ছাড়া স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলেন তদন্ত দলের সদস্যরা।

 

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের স্ত্রী শিরিন আক্তার, মা জহুরা খাতুন প্রেসিডেন্ট রিসোর্টের পরিচালক। আর তাঁর ভাই এ বি এম শাহরিয়ার হলেন প্রেসিডেন্ট রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। হারুন অর রশীদ নিজে পরিচালনা পর্ষদে নেই। সিআইসির কর্মকর্তারা তাঁদের কর ফাঁকি তদন্ত করছেন।

প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট–সংক্রান্ত তদন্তে হারুন অর রশীদের খালা মিনারা বেগম ও মামা সোমরাজ মিয়া এবং ব্যবসায়িক অংশীদার আলাউদ্দিন আল সোহেলের কর ফাঁকিরও তদন্ত করা হচ্ছে।

 

ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে হারুন অর রশীদ গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধানের দায়িত্ব পালন করতেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি অত্যন্ত প্রভাবশালী পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ছাত্রদের নেতৃত্বে কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু হওয়ার পর তা দমন করতে তিনি ডিবিকে ব্যবহার করেছেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলাও হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট একটি বিলাসবহুল অবকাশ কেন্দ্র, যেখানে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিআইসির কর্মকর্তারা বলেছেন, এসব বিনিয়োগের কতটা হারুন অর রশীদ অথবা তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কর নথিতে দেখানো হয়েছে, যা তাঁরা খতিয়ে দেখবেন।

এর আগে গত অক্টোবরে সিআইসি থেকে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সব ধরনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। সিআইসি একই সঙ্গে ডিবি হারুন হিসেবে বেশি পরিচিত এই কর্মকর্তার পরিবারের অন্য সদস্যদের ব্যাংক হিসাবও জব্দ করেছে। তাঁরা হলেন স্ত্রী শিরিন আক্তার, মা জহুরা খাতুন, ভাই এ বি এম শাহরিয়ার ও জিয়াউর রহমান; শ্বশুর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও আত্মীয় সমরাজ মিয়া।

সিআইসির কর্মকর্তারা জানান, কর ফাঁকি ধরা পড়লে হারুন ও তাঁর পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়দের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে।

শেয়ার করুন