খাগড়াছড়িতে হঠাৎ করেই তরমুজের দাম বেড়ে গেছে। এক সপ্তাহ আগে যেই তরমুজ বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা সে তরমুজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে। তাপমাত্রা যেমন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তেমনি তরমুজের দামও হয়ে উঠেছে আাকাশ ছোঁয়া।
প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। তাপদাহ থেকে সামান্য পরিত্রাণ পেতে ইফতারে ধর্মপ্রাণ রোজাদাররা তরমুজই পছন্দ করেন। কিন্তু আকাশ ছোঁয়া দামের কারণে এখন আর তরমুজের স্বাদ নিতে পারছেন না নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষেরা।
অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনের যথাযথ মনিটরিং না থাকায় সিন্ডিকেট করে খাগড়াছড়ি লাইনে তরমুজ ব্যবসায়ীরা মনমতো তরমুজের দাম বাড়িয়েছেন। প্রচুর সরবরাহ থাকলেও সংকট ও পরিবহন সমস্যার কথা বলে তরমুজের দাম বেশি নিচ্ছেন। অথচ কাঁচা মাল বা পণ্যবাহী মালামালা পরিবহনে সরকারী কোন বিধি নিষেধ না থাকলেও ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট দেখাচ্ছেন।
সাধারণত রোজার সময় ফলের কদর বাড়ে। ফল ছাড়া ইফতার যেন কল্পনাই করা যায় না। এদিকে গ্রীষ্মকাল শুরু হলেও পরিপক্ব না হওয়ায় বাজারে এখনও আসেনি চাহিদা অনুযায়ী মৌসুমী ফল। তাই বাজারে থাকা গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজের ওপরই এখন ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। এরমধ্যে একয়দিনের টানা তাপদাহে অতিষ্ট হয়ে মানুষ তরমুজ ফলের দিকে ঝুকলেও কেনার সাধ্য নেই।
আর এ সুযোগটিকে কাজে লাগাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তারা তরমুজের দাম হাঁকাচ্ছেন ইচ্ছেমতো।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে নানান অজুহাত দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, এ বছর তরমুজের ফলন ভালো হয়নি। এর ওপর চৈত্রের শুরুতেই প্রচণ্ড গরম পড়তে শুরু করায় বেশি দাম পাওয়ার আশায় পরিপক্ক হওয়ার আগেই মাঠ থেকে তরমুজ তুলে বিক্রি করেছেন কৃষকরা। তারা বলছেন, এখন আর মাঠে তরমুজ নেই। তাই বাজারে তরমুজের সরবরাহ কমেছে। আর তাই দামও বেড়েছে।
জেলা সদরের পাশাপাশি উপজেলার বাজারগুলোর অবস্থা বেশিই নাজেহাল। বিশেষ করে দীঘিনালা, পানছড়ি, মাটিরাঙ্গা, গুইমারা, মানিকছড়ি ও রামগড় মূল সড়কের পাশে তরমুজ বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, কোথাও কোন পন্যের মূল্য গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত নিয়ে থাকলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।